ঢাকাWednesday , 14 February 2024
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আরসা’র সেকেন্ড-ইন-কমান্ডসহ আটক-৩

Link Copied!

শ.ম.গফুর,উখিয়া,কক্সবাজার:
কক্সবাজারের উখিয়ায় আরসা’র সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবুল হাশিমসহ ৩ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে র‌্যাব। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ২টি বিদেশি অস্ত্র, ১টি দেশীয় তৈরি এলজি এবং ৪ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১৪ ফ্রেব্রুয়ারি) ভোরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২০’র একটি আস্তানা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১৫’র অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
আটকরা হলো ক্যাম্প-৪’র এইচ-১ ব্লকের মৃত আলী আহমদের ছেলে আবুল হাশিম (৩১), ক্যাম্প-১২’র এইচ-১ ব্লকের বাসিন্দা মো. নুর ও ক্যাম্প-৬ এর ডি-৭ ব্লকের বাসিন্দা নূর আলমের ছেলে মো. আলম।
র‌্যাব অধিনায়ক বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আরসার একের পর এক সামরিক ও অর্থনৈতিক শাখাসহ বিভিন্ন শাখার প্রধান আটক হওয়ার পর সংগঠনটির শীর্ষ কমান্ডার আতাউল্লাহ জুনুনির নির্দেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হয় মাস্টার কলিম উল্লাহকে। তার নির্দেশে আবুল হাশিম, হোসেন জোহর ও মো. আলম ক্যাম্পে অপরাধ সংগঠিত করেন। সর্বশেষ ১১ ফেব্রুয়ারি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২০ নম্বর এক্সটেনশনে মো. আসাদউল্লাহ নামে এক যুবককে তুলে নিয়ে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এই হত্যার সঙ্গে জড়িদের গ্রেপ্তারে কাজ শুরু করে র‌্যাব-১৫।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে কয়েকজন আরসা সদস্য কক্সবাজারের উখিয়ার ২০ এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি ঘরে অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার মধ্যরাতে র‌্যাবের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় ৩ জনকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবুল হাশিম জানান, ২০১৮ সালে আরসায় যোগ দিয়ে প্রথমে নেট গ্রুপের সদস্য হিসেবে কাজ করতেন। এরপর ক্যাম্প-৪’র জিম্মাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সিনিয়র নেতাদের নির্দেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সহিংসতা সৃষ্টি, মারামারি, প্রতিপক্ষের ওপর সশস্ত্র হামলা, আরসা’র টার্গেটকৃত মাঝি, সাধারণ রোহিঙ্গা ও বিত্তশালী রোহিঙ্গাদের হত্যা ও অপহরণসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আত্মগোপনে চলে যেতেন তিনি।
তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ ৭টি মামলা রয়েছে বলে জানান লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, আটক আলী জোহার আরসা নেতাদের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে আনা-নেওয়ার কাজ করতো। ২০২২ সালে তুমব্রু কোনারপাড়া ডিজিএফআই কর্মকর্তা হত্যার পর আরসা’র পরিবহন শাখার কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ পায়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে উখিয়া থানায় ২টি মামলা রয়েছে। মো. আলম আরসা’র হয়ে ২০১৬ সাল থেকে মিয়ানমারে আরসার পাহারাদার হিসেবে কাজ করলেও ২০২০ সাল থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ নেন। ২০২৩ সালের প্রথম থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৬’র হেড জিম্মাদার হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে মাস্টার কলিম উল্লাহর নির্দেশে ক্যাম্পে হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, নির্যাতনসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করতো। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে উখিয়া থানায় ৫টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।