ঢাকাThursday , 3 February 2022
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

যে কারণে অমিক্রনকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না

Link Copied!

মুখে মুখে এখন এক নাম—অমিক্রন। তবে করোনা সংক্রমণ হয়েছে মানেই যে ধরনটা অমিক্রন, তা কিন্তু নয়। অমিক্রন এসেছে বলে যে বিধ্বংসী ডেলটা ধরন ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছে, তা-ও নয়।

উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই যাচ্ছেন জনসমাগমস্থলে, আর সুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে ঢিলেঢালা ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা একেবারেই কাম্য নয়। অমিক্রনকে হালকাভাবে দেখার কিছু নেই, এ কথা বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও।

করোনা সর্বদাই পরিত্যাজ্য

কিছু বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন হওয়ার কারণে ভিন্ন নামে ডাকা হলেও ডেলটা বা অমিক্রন সবই করোনাভাইরাসের নানা ধরন। অসচেতনতায় কে যে কোন ধরনে আক্রান্ত হয়ে যাবেন, কেউ জানেন না। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যার সঙ্গে প্রতিদিন মৃত্যুহারও বাড়ছে। পরিসংখ্যান যা-ই বলুক, যে পরিবার প্রিয়জনকে হারায়, তার সে শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। কেবল মৃত্যুঝুঁকি নয়, বিছানা খালি না পাওয়ায় হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে অসুস্থ স্বজনদের নিয়ে যাতে ছুটে বেড়াতে না হয়; অক্সিজেনের অভাবে, সিটের অভাবে একজন মানুষকেও যাতে আর যন্ত্রণায় কাতরাতে না হয়, সে জন্যই দরকার সচেতনতা।

সচেতন থাকুন

  • এখন শিশু-কিশোরেরাও ব্যাপক হারে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের অনেকেরই এখনো টিকার দুটি ডোজ সম্পন্ন হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিছুদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে তাদের নিরাপদ রাখার জন্য। তার মানে এই নয় যে শিশুদের নিয়ে জনসমাগমে, বিপণিবিতানে, মেলায় ঘুরে বেড়াবেন। এই অমিক্রন ঢেউয়ের সময় তাদের বাড়িতেই রাখুন।
  • ডেলটা হোক বা অমিক্রন, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি কোনো রোগে (যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনির রোগ) আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য যেকোনো ধরনই মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ বাড়িতে থাকলেও তাঁদের পরিবারের যেসব সদস্য বাইরে যাতায়াত করেন, তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি না মানলে নিজের অজান্তেই উপসর্গবিহীন বাহক হিসেবে বাইরে থেকে ভাইরাস বয়ে আনতে পারেন।

ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক পরুন

ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক পরুন

  • কেবল নিজের সচেতনতাই যথেষ্ট নয়। আপনি মাস্ক পরলেন, কিন্তু আপনার বন্ধু, সহকর্মী, গণপরিবহনের সহযাত্রী কিংবা পাশ দিয়ে যাওয়া পথচারী যদি মাস্কবিহীন থাকেন, তাহলে কোনো লাভ নেই। মাস্ক পরা, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলা, যত্রতত্র কফ-থুতু (এমনকি ব্যবহৃত মাস্কও) না ফেলা—এই বিষয়গুলো নিয়ে সামাজিক আন্দোলন হওয়াটা এখন ভীষণ জরুরি। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসমাগম, গণপরিবহন এবং অন্যান্য বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, টিকা নেওয়ার সুযোগ পেলেই নিয়ে নিতে হবে।
  • টিকা নিলে করোনা হবে না এমন নয়। এমনকি বুস্টার নেওয়ার পরও হতে পারে করোনা সংক্রমণ। কার কতটা গুরুতর হবে, তা কেউ জানে না। তাই টিকা নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মানুন।

করোনার টিকা না নিয়ে থাকলে দ্রুত নিয়ে নিন

করোনার টিকা না নিয়ে থাকলে দ্রুত নিয়ে নিন

  • সাধারণ ঠান্ডা-জ্বরের মতো উপসর্গই হতে পারে করোনাভাইরাসের উপসর্গ। হালকা সর্দি, নাক বন্ধও হতে পারে করোনার লক্ষণ। উপসর্গ দেখা দিলেই পাঁচ-সাত দিনের জন্য নিজেকে পৃথক রাখুন অবশ্যই, যাতে অন্যদের মধ্যে না ছড়ায়। সম্ভব হলে টেস্ট করে নিন। হালকা সর্দি-কাশিকে অবহেলা করবেন না।
  • এখনো দেশের একটি বড় জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় আসেনি। তারা রয়ে গেছে ঝুঁকির মধ্যে। আপনি টিকা বা বুস্টার নিয়েছেন বলে স্বাস্থ্যবিধি মানবেন না, আর তাতেও অন্য কারও বিরাট বিপদ ঘটে যাবে। মহামারি এখনো শেষ হয়ে যায়নি। শেষ হয়নি মৃত্যুর মিছিলও। তাই সচেতন ও দায়িত্বপূর্ণ আচরণ করুন।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।