মুখে মুখে এখন এক নাম—অমিক্রন। তবে করোনা সংক্রমণ হয়েছে মানেই যে ধরনটা অমিক্রন, তা কিন্তু নয়। অমিক্রন এসেছে বলে যে বিধ্বংসী ডেলটা ধরন ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছে, তা-ও নয়।
উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই যাচ্ছেন জনসমাগমস্থলে, আর সুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে ঢিলেঢালা ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা একেবারেই কাম্য নয়। অমিক্রনকে হালকাভাবে দেখার কিছু নেই, এ কথা বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও।
করোনা সর্বদাই পরিত্যাজ্য
কিছু বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন হওয়ার কারণে ভিন্ন নামে ডাকা হলেও ডেলটা বা অমিক্রন সবই করোনাভাইরাসের নানা ধরন। অসচেতনতায় কে যে কোন ধরনে আক্রান্ত হয়ে যাবেন, কেউ জানেন না। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যার সঙ্গে প্রতিদিন মৃত্যুহারও বাড়ছে। পরিসংখ্যান যা-ই বলুক, যে পরিবার প্রিয়জনকে হারায়, তার সে শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। কেবল মৃত্যুঝুঁকি নয়, বিছানা খালি না পাওয়ায় হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে অসুস্থ স্বজনদের নিয়ে যাতে ছুটে বেড়াতে না হয়; অক্সিজেনের অভাবে, সিটের অভাবে একজন মানুষকেও যাতে আর যন্ত্রণায় কাতরাতে না হয়, সে জন্যই দরকার সচেতনতা।
সচেতন থাকুন
- এখন শিশু-কিশোরেরাও ব্যাপক হারে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের অনেকেরই এখনো টিকার দুটি ডোজ সম্পন্ন হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিছুদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে তাদের নিরাপদ রাখার জন্য। তার মানে এই নয় যে শিশুদের নিয়ে জনসমাগমে, বিপণিবিতানে, মেলায় ঘুরে বেড়াবেন। এই অমিক্রন ঢেউয়ের সময় তাদের বাড়িতেই রাখুন।
- ডেলটা হোক বা অমিক্রন, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি কোনো রোগে (যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনির রোগ) আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য যেকোনো ধরনই মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ বাড়িতে থাকলেও তাঁদের পরিবারের যেসব সদস্য বাইরে যাতায়াত করেন, তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি না মানলে নিজের অজান্তেই উপসর্গবিহীন বাহক হিসেবে বাইরে থেকে ভাইরাস বয়ে আনতে পারেন।