ঢাকাMonday , 5 November 2018
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পাকিস্তান কাছে হোয়াইটওয়াশ নিউজিল্যান্ড

Link Copied!

খেলাধুলা ডেক্সঃ আরব আমিরাতের মাটিতে এসে পাকিস্তানের সামনে দাঁড়াতেই পারছে না নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল। শুরুতেই ছিল টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তিন ম্যাচের এই সিরিজের প্রতিটি ম্যাচেই শোচনীয়ভাবে সরফরাজ আহমেদের দলের কাছে হেরেছে কেন উইলিয়ামস অ্যান্ড কোং। শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কিউইদের ৪৭ রানে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশই করলো পাকিস্তান।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যানই লড়াই করতে পারেনি পাকিস্তানি বোলারদের সামনে। তিনি যখন দলকে একটা পর্যায়ে রেখে এসেছিলেন, তখনও জয়ের আশা ছিল নিউজিল্যান্ডের। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে পতন ঘটে নিউজিল্যান্ডের পুরো ব্যাটিং লাইনআপের।

মাত্র ২৯ বল এবং ২৩ রানের ব্যবধানে কিউইদের খোয়াতে হয় ৮টি উইকেট। খেলার মাঝপথে এসে এমন ভয়ানক ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর আর কোনোভাবেই জয় কামনা করার উপায় ছিল না নিউজিল্যান্ডের। ফলাফল, চড়া মাশুল দিয়ে পাকিস্তানের কাছে ৪৭ রানের বড় ব্যবধানে হার।

জয়ের জন্য ১৬৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে কলিন মুনরো (২) এবং কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের (৬) উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ১৩ রানে ২ উইকেট পড়ার পর যে বিপর্যয়ের শঙ্কা ছিল সেটা কাটিয়ে ওঠে নিউজিল্যান্ড। গ্লেন ফিলিপস আর কেন উইলিয়ামসনের ব্যাটে। দু’জনের ব্যাটে গড়ে ওঠে ৮৩ রানের অনবদ্য জুটি।

এমন এক জুটির পর মুহূর্তে কে বলতে পারবে, অভাবনীয় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়বে কোনো দল! ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা বলেই হয়তো এটা সম্ভব। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ দলটির নাম আবার পাকিস্তান। ১২.২ ওভারে ২ উইকেটে ৯৬ রান থেকে ১৬.৫ ওভারে ১১৯ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড। ৯৬ রানে তৃতীয় উইকেট হিসেবে আউট হন উইলিয়ামসন। ৩৮ বলে ৬০ রানের ঝড়ো ইনিংস উপহার দেন তিনি।

পাকিস্তানি স্পিনার শাদাব খানের বলে বাবর আজমের হাতে ক্যাচ দিয়ে তার ফিরে যাওয়ার পরই ধ্বস নামে। ৯৭ রানের মাথায় ফেরেন গ্লেন ফিলিপস। ২৪ বলে ২৬ রান করেন তিনি। বাকি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শেষ মুহূর্তে ইস শোধি অপরাজিত থাকেন ১১ রানে। বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউই আর দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি।

শাদাব খান ৩০ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ওয়াকাস মাকসুদ ২১ রান দিয়ে ২টি, ইমাদ ওয়াসিম ২৮ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ফাহিম আশরাফ নেন ১ উইকেট।

এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৬৬ রান তোলে। হাফসেঞ্চুরি করেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজ। পাকিস্তানের ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমে ফাখর জামান ১১ রান করে আউট হন। এরপর হাফিজের সঙ্গে জুটি বেঁধে বাবর দ্বিতীয় উইকেটে ৯৪ রান যোগ করেন। শেষে ৭৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। ৫৮ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন বাবর।

শোয়েব মালিক চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে তিনটি বাউন্ডারির সাহায্যে ৯ বলে ১৯ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। আসিফ আলিকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানকে লড়াই করার রসদ এনে দেন হাফিজ। আসিফ ২ রান করে নটআউট থাকেন। হাফিজ আপরাজিত থেকে যান ব্যক্তিগত ৫৩ রানে। ৩৪ বলের ইনিংসে তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।