ঢাকাSaturday , 13 October 2018
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ক্রমশ:বাড়ছে এইডস রোগী:২ গর্ভবতী নারীসহ ২৬৮ রোহিঙ্গা আক্রান্ত

Link Copied!

উখিয়া(কক্সবাজার)প্রতিনিধি ঃমায়ানমারের রাখাইনে (আরাকান) সেদেশের সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতনের মুখে গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ৭ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা।পুর্ব থেকে এপারে আরো ছিলো প্রায় ৪ লাখ।সব মিলিয়ে ১১ লাখের বেশী রোহিঙ্গার আশ্রয় বাংলাদেশে।তাঁরা মায়ানমার থেকে আসার সময় অনেক রোগব্যাধিও বহন করে নিয়ে আসে। রোহিঙ্গারা ডিপথেরিয়া ও এইচআইভি-এইডসসহ নানা মারাত্মক রোগে আক্রান্ত। রোহিঙ্গা আগমনের কারণে বাংলাদেশ থেকে নির্মূল হয়ে যাওয়া অনেক রোগও ফিরে এসেছে। মায়ানমার থেকে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মাঝে এ পর্যন্ত অন্তত ২৬৮ জন এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) কক্সবাজার সদর হাসপাতালের সিএমটিসি সেন্টারে দুই রোহিঙ্গা গর্ভবতী নারীর এইচআইভি পজিটিভ শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানাগেছে।

বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এইডস রোগীদের জন্য গড়ে তোলা দুটি বিশেষ সেন্টারে ৩ শতাধিক রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে যাদের মধ্যে ২ শতাধিক রোহিঙ্গা এবং বাকীরা স্থানীয়। আবার রোহিঙ্গাদের মধ্যে গত এক বছরে ৮ হাজার ২শ’ জন ডিপথেরিয়া রোগীও শনাক্ত হয়েছে।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. মো. আবদুস সালাম জানান, মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য যেহেতু কোনো ইপিআই কর্মসূচি ছিল না, তাই পল্লী চিকিৎসকই ছিল তাদের ভরসা। এ কারণে রোহিঙ্গাদের মাঝে দীর্ঘমেয়াদী শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, আমাশয়, জন্ডিস, টিবি, হাম,ডায়রিয়া, গর্ভকালীন জটিলতা, টিউমার ও পিত্তথলিতে পাথর, হেপাটাইটিস বি ও সি, এইচআইভি বা এইডসসহ নানা রোগ রয়েছে। যার মধ্যে এ পর্যন্ত ২৬৮ জন এইচআইভি পজিটিভ রোগী ও ৮ হাজার ২শ’ জন ডিপথেরিয়া রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) আবুল কালাম আজাদ জানান, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করছে ১২৪টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও)। ক্যাম্পভিত্তিক সেবাকেন্দ্র ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্র কিংবা ফিল্ড হাসপাতালের মাধ্যমে জটিল নয় এমন রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়। প্রধানত পানিবাহিত ও অপুষ্টিজনিত রোগের সেবা প্রদান করা হয় ইপিআই কর্মসূচির মাধ্যমে। তাই ক্যাম্পে কোনো রোগীর চিকিৎসা সম্ভব না হলে, সেই রোগীকে কক্সবাজার সদরে পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জটিল রোগ ধরা পড়লে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ‘রোহিঙ্গা ওয়ার্ডে’ স্থানান্তর করা হয়।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালেও রোহিঙ্গাদের জন্য বিশেষ ওয়ার্ড রয়েছে। গত এক বছরে এখানে প্রায় ৫ হাজার রোহিঙ্গা রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন জানিয়ে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সোলতান আহমদ সিরাজী জানান, কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এইচআইভি পজিটিভ বা এইডস রোগীদের জন্যও দুটি বিশেষায়িত চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে গত প্রায় ৪ বছর আগে চালু হওয়া এআরটি (এন্টি রেক্টোভাইরাল থেরাপি) সেন্টারে বর্তমানে ৩ শতাধিক রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। যাদের মধ্যে ২ শতাধিক রোহিঙ্গা এবং বাকীরা স্থানীয়।

ডা. সোলতান আহমদ সিরাজী আরো জানান, এইচআইভি পজিটিভ গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসার জন্য ‘কমপ্রিহেনসিভ প্রিভেনশন ফ্রম মাদার টু চাইল্ড ট্রান্সমিশন’ নামের আরো একটি সেন্টার গত প্রায় এক মাস আগে ইউনিসেফ-এর অর্থায়নে গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে বৃহস্পতিবার ২ জন রোহিঙ্গা নারীর এইচআইভি পজিটিভ শনাক্ত হয় বলে জানান তিনি।

গত বছরের আগস্টে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩০টি শিবিরে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৯১-৯২ সালে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য দুই উপজেলায় আরো ২টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। তবে ক্যাম্পে স্বাস্থ্য খাতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না থাকায় চিকিৎসাসেবায় বড় ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।