ঢাকাMonday , 31 October 2022
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

Link Copied!

 

জাহিদ হাসান জীবন, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আমন ক্ষেতে সবুজের সমারােহ। বাতাসে দােল খাচ্ছে সবুজ ধানের গাছ। বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় কৃষকেদর মনে বিরাজ করছে হাসি-খুশি ভাব। বুক ভরা আশা করছেন এবার বুঝি লাভবান হবেন। তিন দফা বন্যার পরেও কোন জমি পতিত অবস্থায় পড়ে নেই। এমনকি চরাঞ্চলের নি¤œাঞ্চলে ভরপুর আমন ধানের মাঠ। গত মৌসুমে আমন ধানের ভাল দাম পাওয়ায় চলতি মৌসুমে ফের আমনেই স্বপ বুনছেন কৃষকেরা। ধান ক্ষেতের পরিচর্যা শেষ এখন রােগ-বালাই দমনের কাজে ব্যস্ত কষকরা। চারিদিকে যেন শ্যামল সবুজের সমারােহ ঘটেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থ বছরের চলিত আমন চাষাবাদের লক্ষমাত্রা ছিল ২৯ হাজার ১৪ হেক্টর। সেখান অর্জিত হয়েছে ২৯ হাজার ৬০০ হেক্টর। লক্ষমাত্রার চেয়ে আবাদ বেশি হয়েছে ৫৮৫ হেক্টর। এবছর কৃষি প্রণাদনা দেওয়া হয়েছে এক হাজার ২৫০ জন কষককে। এদের প্রত্যককে এক বিঘা করে আবাদের জন্য ৫ কেজি উফসী ধানের বীজ, ড্যাপ সার ১০ কজি ও এমওপি সার ১০ কেজি দেয়া হয়েছে। ধানের জাত সমূহ হচ্ছে ব্রিধান-৭৫, ৮০, ৮৭, ৫১, ৫২, ৫৬, ৭১, ৯০, ৯৩, ৯৪, ৯৫ প্রভৃতি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে , এ মুহূর্ত ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন চাষিরা। যারা বর্ষার শুরু থেকে আমন ধানের চারা রােপন করেছেন, তাদের জমির ধান গাছ অনেকটা বড় হয়ে গেছে। এখন শেষ মহুর্তে ধানের জমিতে ভালাে ফলনের জন্য অনেক কৃষক ইউরিয়া সার ছিটাচ্ছেন। সারের কােন সংকট না থাকায় মনের সুখে আবাদে আত্মনিয়োগ করেছেন তারা। আবার অনেক ধানের পােকামাকড় প্রতিরােধ করতে কীটনাশক স্প্রে করছেন। বাতাসে দােল খাচ্ছে সবুজ ধানের গাছ। আর সেই সাথে দুলছে আমন চাষিদের স্বপ্ন।
চরখাের্দ্দা গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম বলন, তিনি চলতি মৌসুমে এক একর জমিতে আমন ধানের চারা লাগিয়েছেন। শেষ মহুর্তে আবহাওয়া অনুকূল থাকলে অধিক ধান উৎপাদন হবে বলে আশা তার। একই এলাকার কৃষক শাহ আলম বলেন, তিনি চরের নি¤œাঞ্চলে দেড় একর জমিতে ধানের চাষ করেছেন। জমিতে সার এবং ঔষধ প্রয়ােগ করেছেন। অধিক ধান উৎপাদনের প্রত্যাশা করেন তিনিও। বিভিন্ন চর ঘুরে দেখা গেছে, আবাদ মােটামুটি ভালই হয়েছে।
উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, লিটন মিয়া ও সারােয়ার হাসান বলেন, কৃষকরা যাতে আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষ করে সে জন্য প্রনােদনা প্রদান করা হচ্ছে। সঠিক পদ্ধতিতে একজন চাষি চাষাবাদ করলে তার আশপাশে যে সকল কৃষক রয়েছে তারা তা দেখে উৎসাহিত হবে। এতে আমনের ফলন আরাে বেশি হবে। তারা আরাে বলেন, সঠিক পরার্মশ নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে ধানের ফলন ভালাে হয়। তাই মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেন তারা। ধানের ফলন বেশি হওয়ার জন্য কৃষকদের সঠিক সময়ে বীজ বপন, সঠিক নিয়মে মানসম্মত ধানের চারা রােপন, নিয়ম অনুযায়ী সার ব্যবহার ও সঠিক পরিচর্যার পরামর্শ প্রদান করা হয়। এছাড়া পােকা দমনে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে পােকা দমনের জন্য পরামর্শ প্রদান করি। যাতে কৃষকের চাষাবাদ খরচ কম পড়ে এবং পরিবেশের ক্ষতি না হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাশিদুল কবির বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সিত্রাং ঘুর্ণিঝড়ে ৮৭ হেক্টর জমির আমন ক্ষেতের মাঝে মাঝে নুয়ে পড়েছে। তবে ক্ষতির সম্ভাবনা তেমন নেই। তাছাড়া আমনের পরিস্থিতি খুবই ভালাে। হেক্টর প্রতি ৪ মে.টন থেকে ৪.৩ মে.টন উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। আর কােন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন হবে বলে আশা করেন তিনি।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।