পহেলা ফাল্গুন। বসন্তের প্রথম দিন। বাঙালি ছেলেমেয়েদের রঙিন হয়ে ওঠার প্রথম অধ্যায়। বিশেষ করে পোশাকে। এ সময় চারপাশে তাকালেই নতুনের আহবান। গাছে গাছে নতুন পাতা, নতুন ফুল। বাতাসে কোকিলের উৎসব। শিমুল পলাশের রঙ লেগে যায় সবখানে।
আর কদিন পরেই সেই মাহেন্দ্রক্সণ। আসবে বসন্ত, পহেলা ফাল্গুনে। বাঙালি মুখয়ে থাকে এই দিনটির জন্য। অন্যরকম ভালোলাগায় দিনটি উদযাপনের প্রতীক্ষায়। আর এমন একটি দিনে প্রিয় মানুষের সঙ্গ দেয় অনাবিল আনন্দ, অনিশেষ সুখময়তা।
এই দিনটি তো আসলে মেতে ওঠার। ভরে নেয়া হৃদয় পাত্র। তাই এই উদযাপন নতুন পোশাক ছাড়া যে অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এজন্য বাংলাদেশের শীর্ষ ফ্যাশন হাউজ ‘রঙ বাংলাদেশ’ নিয়ে এসেছে ফাল্গুনের পোশাক সম্ভার। এই পোশাক সম্ভারের মূল থিম ফুলেল নকশা। অর্থাৎ ফ্লোরাল মোটিফে অলঙ্কৃত হয়েছে পোশাকের জমিন। তিনটি রঙ হলুদ, কমলা আর লাল- এই ত্রয়ীর নানা শেডে উজ্জ্বল হয়েছে প্রতিটি পোশাক। মূলত ট্র্র্যাডিশানাল পোশাকই থাকছে এই কালেকশনে। মেয়েদের কালেকশনে আছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, সিঙ্গেল কামিজ, লং-স্কাট ও টপস, কাফতান। ছেলেদের জন্য আছে পাঞ্জাবি, শার্ট ও টি-শার্ট। আরো আছে বাচ্চাদের ফ্রক, স্কার্ট, টপস, পাঞ্জাবি, শার্ট ও টি-শার্ট। জমিন অলঙ্করণে ব্যবহৃত হয়েছে ব্লক প্রিন্ট, স্ক্রিন প্রিন্ট, মেশিন এমব্রডারি, হ্যান্ড এমব্রয়ডারির সঙ্গে সিকুয়েন্স।
ফ্যাশনপ্রিয় বাঙালি উদযাপন ইচ্ছাকে মাত্রা দিতে প্রতিটি পোশাককে রাখা হয়েছে ক্রয়সাধ্যের মধ্যে। শাড়ি কেনা যাবে ৭০০-৪০০০ টাকার মধ্যে, সালোয়ার-কামিজ ১২০০-৪০০০ টাকা, পাঞ্জাবি ৯৫০-১৫০০ টাকার মধ্যে। শার্টের দাম ৫৫০-৯৫০ টাকা, টি-শার্ট ৪৫০-৭৫০ টাকা আর বাচ্চাদের পোশাক ৩৫০-৯৫০ টাকা।