নতুন বছর উপলক্ষ্যে রিংআইডি সোশ্যাল বিজনেস নেটওয়ার্ক তাদের বহুলকাংখিত ফিচার আনতে চলছে। ফিচারটির নাম রিংবিট। রিংআইডি টিম দাবি করছে, রিংবিট নতুন প্রজন্মের ক্রিপ্টোকারেন্সি। এর উৎস অনেকটাই ক্রিপ্টোকারেন্সির মত। সাধারণত পাঁচ ভাবে রিংবিট সংগ্রহ করা যাবে। যথাঃ ১. মাইনিং ২. রিংআইডি ৩. পাবলিক সেল ৪. রিওয়ার্ড এবং ৫. ফাউন্ডেশন।
রিংআইডি কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালে মোট আড়াই বিলিয়ন গ্রাহক সংগহ করার লক্ষ্য নিয়ে ১০ বিলিয়ন রিংবিট কারেন্সী ইউজারদের মধ্যে বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের মধ্যে বন্টন করছে। গ্রাহক পর্যায়ে রিংবিট সংগ্রহ করার জন্য রিংআইডি টিম একটি প্রাথমিক বন্টন ব্যবস্থা নির্ধারণ করেছে। রিংআইডি একাউন্টের এক্টিভিটিস উপরে ৬০%, রিংস্টোরে কেনাকাটার উপরে ২০%, বিভিন্ন কুইজ ও কন্টেস্টের উপরে ১০% এবং একাউন্ট রিলেটেড পারচেজের উপরে ১০% হারে রিংবিট প্রদান করবে।
এক কথায় বলা চলে রিংবিট হচ্ছে রিংআইডি সোস্যাল বিজনেস নেটওয়ার্কের একক আন্তজার্তিক মূদ্রা। যা দিয়ে পে করে প্রাইভেট ও প্রিমিয়াম লাইভ স্ট্রীমগুলো দেখার সুযোগ থাকবে, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাগণ তাদের ব্যবসায়িক বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন, ব্যবহারকারীরা ভার্চুয়াল গিফট কিনতে পারবে, ব্রডকাস্টাররা বুস্টের মাধ্যমে অডিয়েন্স সংগ্রহ করতে পারবেন, রিংস্টোরে শপিং করতে পারবে, অনলাইনে ফুড অর্ডার করা যাবে। এছাড়াও কার রেন্ট, এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং সহ নানা সার্ভিসে রিংবিট দিয়ে পেমেন্ট দেয়া যাবে।
এ্যাপ ও ওয়েব থেকে ব্যবহারকারীরা সরাসরি রিংবিট ক্রয় করতে পারবে। প্রয়োজনে ব্যবহারকারীরা নিজেদের মধ্যে রিংবিট বিনিময় করতে পারবে। এমনকি ব্যবহারকারীরা রিংবিট ট্রান্সফার করে অন্যান্য ডিজিটাল একাউন্টের কারেন্সি হিসাবে কনভার্ট করতে পারবে এবং ব্যাংক ট্রান্সফার করে ক্যাশ করার সুযোগ থাকবে। রিংআইডিতে ২০১৭ সালে রিং কয়েন চালু হয়েছিল। ২০১৯ সালে রিংবিট চালুর কথা থাকলেও ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে তা সম্পূর্ণভাবে কর্যকর করা হবে।