ঢাকাFriday , 20 March 2020
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

করোনা কিট আবিস্কারক কে এই বিজন শীল

Rupom Ahmed
March 20, 2020 6:32 am
Link Copied!

দেশে করোনাভাইরাস টেস্টিং কীট আবিস্কারক কে এই ড. বিজন?

আপনারা কে চিনেন বা জানেন ড. বিজন কুমার শীলকে? তিনি গণস্বাস্থ্যে কাজ করেন। তিনি ও তার দল সম্প্রতি দেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের হয়ে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট আবিস্কার করেছেন।

২০০৩ সালে, ড. বিজন কুমার শীল সার্স ভাইরাস দ্রুত নির্ণয়ের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এই ‘র‌্যাপিড ডট ব্লট’ পদ্ধতিটিও ড. বিজন কুমার শীলের নামে পেটেন্ট করা। পরে এটি চীন সরকার কিনে নেয় এবং সফলভাবে সার্স ভাইরাস মোকাবেলা করে।
দেশে করোনাভাইরাস কিট আবিস্কারক ড. বিজন কুমার শীল গণস্বাস্থ্যে কাজ করেন। ড. বিজন কুমার শীল ও তার নেতৃত্বে ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাশেদ জমিরউদ্দিন ও ড. ফিরোজ আহমেদ এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন।

অসাধারণ একজন মেধাবী মানুষ। বিভিন্ন কারণে একসময় তিনি বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে চলে যান সিংগাপুরে, জয়েন করেন সিংগাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক হিসাবে।

এরপর ঐ চাকরি ছেড়ে জয়েন করেন এমপি নামক একটা বায়োলজিকস আমেরিকান কোম্পানিতে, ওটার মালিক ছিলেন যুগোস্লাভিয়ার একজন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। এরপর নিজেই বায়োলজিক্যাল রিয়েজেন্ট তৈরি ও ব্যবসা শুরু করেন। সম্প্রতি তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগ দেন মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টে। সেখানে তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি মনযোগ দেন গবেষনায়।

‘ব্লাড গ্রুপ যে পদ্ধতিতে চিহ্নিত করা হয় এটা মোটামুটি সে রকমের একটি পদ্ধতি। ২০০৩ সালে যখন সার্স ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল তখন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল সিঙ্গাপুর গবেষণাগারে কয়েকজন সহকারীকে নিয়ে সার্স ভাইরাস দ্রুত নির্ণয়ের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।

দুর্ভাগ্য দেশের খ্যাতনামা মেডিক্যাল কলেজগুলো তাকে কাজে লাগায়নি। দুর্ভাগ্য আমাদের। আজ এই অবহেলিত চিকিৎসক, গবেষক করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট আবিস্কার করে দেশ ও জাতির কল্যাণে এগিয়ে এসেছেন।

ড. বিজন ও তার দলের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে ১৫ মিনিটে করোনা শনাক্ত সম্ভব’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘তাদের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে মাত্র ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে বলে শনাক্ত করা যাবে করোনা সংক্রমণ হয়েছে কি না। এতে খরচ পড়বে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকার মতো। সরকার যদি এর ওপর ট্যাক্স-ভ্যাট আরোপ না করে তাহলে এই কিটস ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বাজারজাত করতে সম্ভব মর্মে জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে রিএজেন্ট আমদানির অনুমতি পেয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা।

বিঃদ্রঃ উনার পুরো নাম ড. বিজন কুমার শীল, পিএইচ ডি (ইউনিভার্সিটি অব সারে, ইংল্যান্ড), ডিভিএম (ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট), এমএসসি (ফার্স্ট ক্লাশ ফার্স্ট) ইন ভাইরোলজি।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।