ঢাকাFriday , 26 June 2020
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

উলিপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে সমালোচনার ঝড়

Link Copied!

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের উলিপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্ঠি হয়েছে। ৭দিনের ব্যাবধানে দুই গ্রুপ একে অপরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন। এতে সাধারন মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। জাতির বীর সন্তানরা একে উপরের বিরুদ্ধে কাঁদা-ছোড়াছুড়ি করায় উপজেলার সর্বত্র সাধারন মানুষের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

জানা গেছে, অস্বচ্ছল ও গৃহহীন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দকৃত আবাসন প্রকল্পে বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়ে গঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে গত বুধবার (১৭ জুন) দুপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের সামনের পুকুর পাড়ে সাবেক কমান্ডার এমডি ফয়জার রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ মানববন্ধন করেছেন। এরপর তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

১৭ জুনের স্বারকলিপি সূত্রে জানা গেছে, সংসদ সদস্য কর্তৃক মনোনীত কথিত বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) দাখিলকৃত অভিযোগ বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া কমিটির সদস্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম হোসেন মন্টুও একজন কথিত বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধা। তারা উভয়ে একে অপরের নিকট আত্বিয়। তারা আবাসন প্রকল্প কমিটিতে থাকলে একতরফা ও পক্ষপাত মূলক কাজ হবে। ফলে সাধারন মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষতিগ্রস্থ ও হয়রানির শিকার হবেন। এরই প্রেক্ষিতে গত বুধবার (২৪ জুন) যুদ্ধাহত সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোলাম মোস্তফা ও সাবেক ডেপুটি কমান্ডার গোলাম হোসেন মন্টুর নেতৃত্বে উপজেলা অডিটরিয়াম হলে সংবাদ সম্মেলন করেন মুক্তিযোদ্ধারা। সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করে বলেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এমডি ফয়জার রহমান দায়িত্বে থাকা কালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থের বিনিময়ে ডাঃ মোকছেদ আলী (গেজেট নং-৩৮২০), নুর মোহাম্মদ প্রধান (গেজেট নং-৩৮৭৭), আয়নাল হক (গেজেট নং-৩৯১১)সহ বেশ কয়েকজন অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছেন। এছাড়া অর্থের বিনিময়ে বিগত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের সময় আরও প্রায় ৭৫জনের নাম জামুকায় প্রেরন করেছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই অমুক্তিযোদ্ধা। তারা আরও বলেন, এমডি ফয়জার রহমান মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশাল অঙ্কের নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। এছাড়া অন্যান্য সুবিধা পাইয়ে দেয়ার নাম করে অনেক মুক্তিযোদ্ধার নিকট থেকে অন্যায় ভাবে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। এমন কি তিনি অনেক মুক্তিযোদ্ধার বিধবা পতœীকে নানা ভাবে হয়রানী করেছেন। এর প্রতিবাদ করলেই ফয়জার রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সেক্টরে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানী করে আসছেন। এছাড়াও সরকার কর্তৃক অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মানে উপজেলা কমিটিতে এমডি ফয়জার রহমান স্থান না পাওয়ায় গত ১৭ জুন সাবেক কমান্ডার গোলাম মোস্তফা ও সাবেক ডেপুটি কমান্ডার গোলাম হোসেন মন্টুর বিরুদ্ধে সাধারন মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশকে ভুল বুঝিয়ে মানববন্ধন ও মিথ্যাচার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। সেখানে তিনি যুদ্ধাহত সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোলাম মোস্তফা ও সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টুকে ভুয়া ও বিতর্কিত বলে উল্লেখ করেছেন। এ ঘটনায় স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহনকারী উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোলাম মোস্তফা ২৭ বছর কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করা কালীন সময়ে অভিযোগকারী এমডি ফয়জার রহমান ডেপুটি কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই সময়ে তিনি কোন অভিযোগ তোলেননি এবং এমডি ফয়জার রহমান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার থাকাকালীন গোলাম হোসেন মন্টু ডেপুটি কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন এসময়ও তিনি কোন অভিযোগ তোলেননি। বর্তমান সময়ে এমডি ফয়জার রহমান ব্যক্তিস্বার্থ ও রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থের জন্য এমন মিথ্যা অভিযোগ আনয়ন করেন। যাহা অত্যান্ত ন্যাক্কারজনক ও দুঃখজনক। জানা গেছে, সরকারি ভাবে উলিপুর উপজেলায় ৫৩ জন অস্বচ্ছল ও গৃহহীন মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের জন্য আবাসন প্রকল্পের ঘর নির্মাণের বরাদ্দ আসে। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রকল্পের সভাপতি ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব এবং উপজেলা প্রকৌশলীকে সদস্য করা হয়। কমিটিতে সভাপতির প্রতিনিধি হিসেবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু ও স্থানীয় সংসদ সদস্যর প্রতিনিধি হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফাকে কমিটিতে সদস্য করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক সাধারন মুক্তিযোদ্ধা জানায়, মূলত ঘটনার সূত্রপাত আবাসন প্রকল্পের কমিটিকে ঘিরেই। উক্ত কমিটিতে সাবেক কমান্ডার এমডি ফয়জার রহমান স্থান না পাওয়া ও সাবেক কমান্ডার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা এবং সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু স্থান পাওয়াকে কেন্দ্র করে। এর ফলে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাগণ দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব রয়েছেন সাবেক কমান্ডার এমডি ফয়জার রহমান ও অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক কমান্ডার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা এবং সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু। গত ৭দিনের ব্যাবধানে দুই গ্রুপ একে অপরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন। এতে সাধারন মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

 

“এনবিনিউজ একাত্তর এর সর্তক বানী”

 

এনবিনিউজ একাত্তর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।.

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।