ঢাকাFriday , 20 April 2018
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সয়াবিন চাষে লক্ষ্মীপুরে লক্ষ মাত্রা অর্জিত হয় নি

Link Copied!

মুহাম্মদ নোমান ছিদ্দীকী:লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি:মেঘনার উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর। অনুকূল আবহাওয়া ও উর্বর মাটির কারণে এ অঞ্চলে সয়াবিনের বাম্পার ফলন হয়। দেশে উৎপাদিত সয়াবিনের প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ সয়াবিন লক্ষ্মীপুরে উৎপাদিত হয়ে থাকে। যে কারণে এ জেলা সয়াবিনের রাজধানী হিসেবে খ্যাত। কিন্তু চলতি মৌসুমে সয়াবিন আবাদের সময় জমি স্যাঁতসেঁতে থাকায় চাষিরা কাঙ্খিত জমিতে সয়াবিন আবাদ করতে পারেনি। ফলে এবার জেলার সয়াবিন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।

গত বছর সয়াবিন আবাদ হয়েছিল ৫৩ হাজার ৫৩৮ হেক্টর জমিতে। এবার সয়াবিন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার ৫০৫ হেক্টর জমিতে তার মধ্যে অর্জন হয়েছে ৪১ হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে। তাতে গত বারের তুলনায় ১২ হাজার ২৬৮ হেক্টর জমিতে কম সযাবিন আবাদ হয়েছে। আর এবারের লক্ষ্যমাত্রা তুলনায় ৯ হাজার ২৩৫ হেক্টর জমিতে কম সয়াবিন আবাদ হয়েছে। কৃষিবিভাগ বলছে ডিসেম্বর মাসের ৯, ১০ ও ১১ তারিখে বৃষ্টি হওয়ায় জেলায় এবার সয়াবিনে আবাদ কম হয়েছে।

স্থানীয় কৃষকদের কাছে সয়াবিন শস্যটি ‘সোনা ফসল’ হিসাবে পরিচিত। এখন রবি মৌসুম। এ সময়ে সয়াবিন আবাদ হয়। তাইতো সোনা ফলাতে বিস্তির্ণ মাঠজুড়ে বীজ বুনেছেন কৃষকরা। উপকূলের বুক ঝুড়ে মাইলের পর মাইল এখন কচি সবুজ সয়াবিন গাছে বরে গেছে। বাম্পার ফলনের আশায় সারাদিন চলছে সয়াবিন খেতের পরিচর্যা। প্রয়োগ করছেন সার ও কীটনাশক। আর এভাবেই একটু একটু করে বেড়ে উঠছে সয়াবিন গাছ। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কৃষকের স্বপ্ন।

জেলার সয়াবিন চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃষ্টির কারনে বীজ বপনের সময় জমি স্যাঁতসেঁতে ছিল। তাই অধিকাংশ জমিতে সয়াবিন আবাদ করতে পারেনি তারা। এ ছাড়াও গত কয়েক বছরের লোকসানের ফলেও অনেক চাষি সয়াবিন আবাদ করেনি। তারপরেও সয়াবিন চাষে রোগ ও পোকার আক্রমণ কম হয়। চাষাবাদ পদ্ধতি সহজ। সয়াবিনে ধানের চেয়ে বেশি দাম পাওয়া যায়। বিক্রি করলে আর্থিকভাবে লাভবান হয় কৃষক। যে কারণে কৃষকদের সয়াবিন চাষে আগ্রহ বেশি। বর্তমানে চাষিরা সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মাঠে সয়াবিন খেত পরিচর্যা করছে ভালো ফলনের প্রত্যাশায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে অন্যান্য বছরের ক্ষতি কিছুটা পুশিয়ে নিতে পারবেন তারা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি লক্ষ্মীপুর অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে লক্ষ্মীপুর জেলার ৫ উপজেলায় ৪১ হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে সয়াবিন আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে রামগতিতে ১৬ হাজার ৫০০ হেক্টর, কমলনগরে ১৩ হাজার ৫০০ হেক্টর, সদরে ৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর, রায়পুরে ৫ হাজার ৫৪০ হেক্টর ও রামগঞ্জ উপজেলায় ৮১ হেক্টর । উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ৯৫ হাজার ৪৫৪ মেট্রিক টন।

লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বেলাল হোসেন খান জানান, বীজ বপনের সময় বৃষ্টি হয়েছিল। ফলে দীর্ঘদিন জমি স্যাঁতসেঁতে ছিল। তাই চাষিরা অধিকাংশ জমিতে সয়াবিন আবাদ করতে পারেনি। যার ফলে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার লক্ষ্মীপুরে সয়াবিনের বাম্পার ফলন হবে। ভালো ফলন পেতে কৃষি অফিস ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছেন।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।