নোয়াখালীর সেনবাগের ৫নং অর্জুনতলা ইউনিয়নের উত্তর মানিকপুর গ্রামের রাজাকানু মোল্লা বাড়ীর মসজিদের পাশের একটি জমি জোর করে দখল করেছেন সন্ত্রাসীরা। গতকাল রাতে পাশের থানার অম্ভনগর থেকে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদ আনোয়ারের নেতৃত্বে যায়গাটিতে ঘর তোলেন নুরুল ইসলাম, শহিদ, সেলিম।
খোজঁ নিয়ে জানাযায়, গতকাল রাতে ওই নুরুল ইসলাম ও তার ভাতিজারা পাশের উপজেলার অম্ভনগর থেকে সন্ত্রাস আনোয়ারের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী এনে সময় এক্সপ্রেস নিউজের সম্পাদক ও ঢাকাস্থ সেনবাগ সাংবাদিক সমিতির সদস্য নাঈম সজলের যায়গাটি দখল করে ঘর তোলেন। এর আগে গত ১০ মার্চ তারা হুমকি দেয় তারা যায়গাটি দখল করবেন তার প্রেক্ষিতে তিনি ১০ মার্চ সেনবাগ থানায় একটি জিডি করেন (জিডি নাম্বার-৪৪০)। যার মধ্যে প্রথম আসামী ওই মুক্তিযোদ্ধার মোঃ শহিদ ও সেলিম। এই বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেনবাগ থানার এএসআই আবু সুফিয়ান জানান, যায়গাটির ঝামেলা নিয়ে একটি জিডি হয়েছে যা আমি মাইজদি কোর্টে পাঠিয়েছি তদন্তের জন্য, আমি গত ২ এপ্রিল সেখানে গিয়ে দু’পক্ষকে এই বিষয়ে চুপ থাকতে বলেছি এবং যায়গায় কাউকে হাত না দিতেও বলেছি তারপর ও তারা কেন হাত দিয়েছেন আমার জানা নাই।
এই বিষয়ে দখলাকারী নুরুল ইসলাম জানান, আমি মুক্তিযোদ্ধা আমার যায়গায় আমি ঘর তুলেছি কার কি করার আছে? রাতের আধারে কেন ঘর তুলেছেন এটার উত্তরে তিনি বলেন এই বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে চাননা।
স্থানীয়দের অভিযোগ সামাজিকভাবে প্রায় একগুয়ে এই মুক্তিযোদ্ধা সব সময় নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে কাউকে পরোনা করেননা বলেন। এসব সাংবাদিক গণনার সময় উনার নাই বলেও তিনি বলে বেড়ান সব সময়।
এই বিষয়ে জমির মালিক সাংবাদিক নাঈম সজলের মা বিবি আমেনা জানান, আমার নামে রেজিস্ট্রি করা যায়গা তারা রাতের অন্ধকারে এসে ঘর তুলেছেন আমি এই বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
উক্ত বিষয়ে সাংবাদিক নাঈম সজল জানান, গত ১০ মার্চ আমার মায়ের নামের যায়গাটি দখল করার হুমকি দেয় মুক্তিযোদ্ধা দাবীকারী নুরুল ইসলামের ভাতিজা শহিদ। এর পর আমি তা সেনবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ করি। পরে তারা গতকাল রাতের আধারে এসে আমাদের যায়গাটতে ঘর তুলেন। আমার বিশ্বাশ প্রশাসন এর সঠিক একটা সমাধান দিবেন।