ঢাকাSunday , 9 February 2020
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সুন্দরগঞ্জে স্কোয়াশ চাষে উজ্জ্বল সম্ভাবনা

Link Copied!

জাহিদ হাসান জীবন, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলে প্রথমবারের মত তিস্তা নদীর চরে জনৈক গোলাম মোস্তফা (অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক) নামে এক কৃষক ৫৫ শতক জমিতে স্কোয়াশ চাষ শুরু করেছেন। ফলে এ অঞ্চলে স্কোয়াশ চাষে কৃষকের অধিকতর লাভের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখছেন কৃষিবিদসহ স্থানীয়রা।

উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের রামডাকুয়া মৌজার কৃষক গোলাম মোস্তফা তার নিজস্ব ৫৫ শতক জমিতে (তিস্তার চরে) প্রথমবারের মত এবারেই স্কোয়াশ চাষ করেছেন। চলতি রবি মৌসুমে উঠতি ফসলের মধ্যে স্কোয়াশ ক্ষেত দেখতেও মনমুগ্ধকর হিসেবে অভিহিত করে তিনি (কৃষক গোলাম মোস্তফা) বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক তত্বাবধান ও পরামর্শক্রমে স্কোয়াশ চাষে উদ্ব্দ্ধু হয়ে এ পর্যন্ত এসেছি। বর্তমানে প্রতিটি গাছে ১২ থেকে ১৬টি করে স্কোয়াশ জন্মেছে। তবে উপযুক্ত না হওয়ায় এগুলো এখনো তোলা যাচ্ছে না। বর্তমানে ক্ষেতের প্রতিটি স্কোয়াশ গাছ (চারা) দেখে মনে উৎফুল্লতা বাড়ায়। প্রথমে ভয় পেলেও এখন আর ভয় নেই। কারণ এ ক্ষেতের চাষ কখনো দেখিনি আর শুনিও নি। এবারে স্যারের (কৃষি অফিসার) উদ্বুদ্ধকরণে অন্তরে পূর্ণ সাহসীকতা যুগিয়েছি। তিনি চরাঞ্চলে স্কোয়াশ চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা ও অধিকতর লাভে বিভিন্ন দিক অভিহিত করে এ ফসলকে পছন্দ করছেন। ক্ষেতের উৎপাদন শেষে অন্যান্য রবিশস্যের চেয়ে অধিকতর লাভজনক হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ জানান, এদেশের মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জসহ অন্যান্য স্থানে অত্যান্ত স্বল্প পরিসরে বিক্ষিপ্তভাবে স্কোয়াশ চাষ হলেও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উত্তরাঞ্চলে এ ফসলের চাষ করা সম্ভব এবং অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে মৃত্তিকার ঊর্বরতায় অনেক বেশী উপযোগী হিসেবে লক্ষ্যনীয়। ফলে এ ফসল অধিকতর লাভজনক হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষক গোলাম মোস্তফার ৫৫ শতক জমিতে উৎপাদিত স্কোয়াশ চাষ থেকে ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। দেখতে শশাঁর মত হলেও শশাঁর চেয়ে স্কোয়াশের অধিকতর উৎপাদন স্বাদ, গুণ ও মানে অতুলনীয়। আমাদের দেশে এর নাম স্কোয়াশ হলেও বহিরবিশ্বে এর নাম ‘জুকিনি’। তিনি নানান গুণাগুণ বর্ণনা দিয়ে বলেন, স্কোয়াশ মানুষের শরীরে এন্টি-অক্সিজেন হিসেবে ডায়াবেটিকসহ বিভিন্ন জটিল সমস্যা সমাধানে (স্কোয়াশ) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্কোয়াশ শশাঁর চেয়ে অধিকতর ফলনশীল, স্বাদ, গন্ধ, গুণে-মানে ও বাজার দরে অত্যান্ত লাভজনক ও চাহিদা সম্পন্ন। তিনি বিদেশে স্কোয়াশ সম্পর্কে ধারণা নিয়েছেন। উপজেলায় এ নতুন ফসলের চাষাবাদ করতে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করেন। এজন্য তিনি তাঁর দফতর থেকে স্কোয়াশ চাষে কৃষকদেরকে ব্যাপক ধারনা ও সহযোগিতার আশ্বাস দানের মতবাদ ব্যক্ত করেন। স্কোয়াশ অন্যান্য সবজির ন্যায় সাধারণত ছালাদ, তরকারি হিসেবে খাওয়া হয়।

তিনি (উপজেলা কৃষি অফিসার) আরও বলেন, উপজেলার চরাঞ্চলসহ সবজি চাষের মত ডাঙ্গায় বা ভিটা জমিতে স্কোয়াশ চাষাবাদের জন্য অত্যন্ত উপযোগি বলে জানান।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।