বুধবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ও ঝালকাঠি রিপোটার্স ইউনিটি।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় এবং ঝালকাঠি জেলা শাখা সাধারন সম্পাদক উপাধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর, ঝালকাঠি নাগরিক ফোরামের সভাপতি সামসুল হক মনু, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিল, ঝালকাঠি নাগরিক ফোরামের সহ-সভাপতি এস এম মিজানুর রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক সরওয়ার হোসেন স্বপন, ঝালকাঠি সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান সোনালী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকির, ঝালকাঠি রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি আল আমিন তালুকদার।
মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে সংহতি প্রকাশ করে সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে আইন প্রণয়নের দাবী জানান জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সাংবাদিক দুলাল সাহা, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির আইসিটি সম্পাদক গোলাম মাওলা শান্ত, জেলা সহ-সভাপতি রুহুল আমিন রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ এইচ এম গিয়াস উদ্দীন, ঝালকাঠি রিপোটার্স ইউনিটির সাধারন সম্পাদক আব্দুল মান্নান তাওহীদ, জেলা যুব মহিলা লীগের সাবেক সভানেত্রী লুৎফুন্নাহার লুনা, ঝালকাঠি নাগরিক ফোরাম সহ-সম্পাদক এম জাকির হোসেন, ধ্রুবতারা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের জেলা সভাপতি রুবেল খান, নাগরিক ফোরাম নেতা আতাউর রহমান, কুদ্দুস মোল্লা, নেত্রী হাসিনা আক্তার, নাজমা আক্তার, ফাতেমা আক্তার, সিঙ্গাপুর প্রাবাসী ইকবাল মাহমুদ, জেলা বিএমএসএফ সদস্য এমরান হোসেন আদনান ও কামরুল হাসান মুরাদ।
একাত্মতা প্রকাশ করেছেন দৈনিক অজানা বার্তা সম্পাদক ডেইলী অবজারভার প্রতিনিধি এসএম এ রহমান কাজল, জাগপার কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শেখ জামাল উদ্দীন, চ্যানেল ৩৬৫ চেয়ারম্যান মো. জামাল শরিফ ও যুবলীগ নেতা খন্দকার ইয়াদ মোরশেদ প্রিন্স।
বক্তারা বলেন, ইউনেস্কোর তথ্যমতে ২০১৮ সালে বিশ্বে ৯৯ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। ২০১৮ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ৮৯৪ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে স্বাধীনতা পরবর্তী সমযে বাংলাদেশে ৩৮ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন তবে এরমধ্যে হাতেগোনা ৪-৫ সাংবাদিক হত্যার বিচার হলেও বাকি হত্যার বিচার হয়নি। দেশের গণতন্ত্র রক্ষা, দূর্ণীতি, অনিয়ম বন্ধ করতে হলে অবিলম্বে সরকারকে সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে আইন প্রণয়ন করতে হবে। দেশে যে হারে সাংবাদিকদের ওপর হামলা-নির্যাতন, হুমকি, মামলা ও লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন।
রাজধানীর পরীবাগে বাংলা ট্টিবিউনের ষ্টাফ রিপোর্টার জাহাঙ্গীর আলম ও আলোকিত বাংলাদেশের ষ্টাফ রিপোর্টার মাহমুদ খানকে ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর মিডিয়া সেন্টার থেকে মোটর সাইকেলযোগে পান্থপথ কর্মস্থলে ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা পোষাকধারী পুলিশ সদস্য ঢাকা মেট্টো-হ-১২-৭৫০৫] মোটর সাইকেলকে ধাক্কা দেয় এবং অকথ্য গালিগালাজ করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থানার অভ্যন্তরে ২১ জানুয়ারি ধর্ষকের ছবি তুলতে গিয়ে পুলিশের সামনে হামলা ও লাঞ্ছিতের শিকার হন কতিপয় সাংবাদিক।
১৭ জানুয়ারি এক সাংবাদিক দম্পত্তি লক্ষ্মীপুরে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে ক্লিনিকপক্ষের লোকজনের হামলায় আহত ও লাঞ্ছিত হন। অর্থের বিনিময়ে রোগি দেখা সিরিয়াল ভঙ্গ করায় প্রতিবাদ করলে তারা এ হামলার শিকার হন।
বিবাড়িয়ার আখাউড়ায় জেএসসি পরীক্ষায় নকলের সংবাদ প্রকাশ করায় ২৫ দিন পর দু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আশুলিয়ায় বিএমএসএফ সভাপতি ইয়াসিন পুলিশের উপস্থিতিতে জমি দখলের ভিডিওচিত্র ধারন করায় পুলিশ তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় এবং অনুমতি ছাড়া ভিডিও ধারন করায় তাকে লাঞ্ছিত করে পরে ফিরিয়ে দেন।
সম্প্রতি টাঙ্গাইলের ডিবিসি চ্যানেলের প্রতিনিধি শেলু আকন্দের উপর বর্বরোচিত হামলায় দু’পা পঙ্গু হয়ে তিনি এখন ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মানববন্ধন থেকে এ সকল হামলার দ্রুত বিচার দাবি করা হয়।