ঢাকাWednesday , 3 October 2018
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লালমনিরহাটের লিপি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েও অর্থের অভাবে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত

Link Copied!

রাসেদুল ইসলাম রাসেদ,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
অদম্য মেধাবী লিপি খাতুন। পড়াশোনার খরচ ভালমত না জুটলেও অদম্য মেধাবী লিপি খাতুন প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ  হয়েছেন। অনেক কষ্টে পড়াশুনা করে সে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সুযোগ পেয়েও অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারছে না।
সে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ গড্ডিমারী গ্রামে মৃত আজিজার রহমান ও রহিমা বেগমের মেয়ে। এক ভাই দুই বোনের মধ্যে সে দ্বিতীয়। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খ” ইউনিটে পরীক্ষা দিয়ে ১৮৩৮তম স্থান পেয়ে উত্তীর্ণ হন।
অদম্য মেধাবী লিপি খাতুন সে হাতীবান্ধা শাহ গরিবুল্য মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে থেকে ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে অংশ নিয়ে জিপিএ ৫ ও হাতীবান্ধা মহিলা ডিগ্রী কলেজ থেকে ২০১৮ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ অর্জন করেন।
জানা গেছে, তার বাবা মৃত আজিজার রহমান একজন আনসার ভিডিপি সদস্য ছিলেন। ২০০৫ সালে নাটোর জেলায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে তিনি নিহত হন। সে থেকে পরিবারে নেমে আসে অন্ধকার। এক ছেলে দুই মেয়ে নিয়ে মা রহিমা বেগম দুশ্চিন্তায় পড়েন। সে থেকে অনেক কষ্টে ধারদেনা করে সংসার চালিয়ে আসছেন রহিমা বেগম। মাত্র ৫ শত জমি উপর বসতবাড়ী নির্মান করে জীবন যাপন করেন। মেয়ের এমন সাফল্য এলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করার সমর্থন নেই তার।
লিপি খাতুন বলেন, শিক্ষকদের সহযোগিতায় পড়াশুনা চালিয়ে। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খ ইউনিটে ১৮৩৮ তম স্থান পেয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাই। কিন্তু আমার পড়াশুনা করার মত আমার মায়ের সামর্থন নেই। কোন সংস্থা বা ব্যাক্তি আমাকে সহযোগিতা করলে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করার সুযোগ পেতাম। আমার ইচ্ছে আমি পড়াশুনা করে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন দেখছি।
তার মা রহিমা বেগম (৩৫) বলেন, অনেক কষ্টে আমার সংসার চলে। মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সুযোগ পেয়েছে কিন্তু পড়াশুনা করার মত অর্থ আমার নেই। তাই সমাজের বিত্তবানরা একটু সহযোগিতা করলে আমার মেয়ের স্বপ্ন পূরণ হত।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন লাভলু বলেন, মেয়েটি দারিদ্র হলেও মেধাবী। তার বাবা দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হওয়া পর থেকে সংসার চলে অনেক কষ্টে। তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও পড়াশুনার খরচ সবাই সহযোগিতা করলে সে পড়াশুনার সুযোগ পেত।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।