ঢাকাSaturday , 20 October 2018
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লালমনিরহাটের তিস্তা,বর্ষা শেষ না হতেই যৌবন হারিয়ে ধু-ধু বালুচর

Link Copied!

রাশেদুল ইসলাম রাশেদ,জেলা প্রতিনিধিঃ
‘তিস্তার পানির কথা আর না কন বাহে। এখন হামার তিস্তা শুকি খাঁ খাঁ হইছে।’ তিস্তা একটি নদীর নাম যা এখন  সরু খাল হইছে। আর সেই তিস্তার সরু খালের দিকে চেয়ে কথাগুলো বলছিলেন তিস্তা পাড়ের বাসিন্দা নছির মিয়া (৫০)।
 কিছুদিন আগেও যে তিস্তার উপচে পড়া পানি ভাসিয়েছে গোটা উত্তরাঞ্চল অথচ কয়েক দিনের ব্যবধানে সেই তিস্তায় এখন ধু-ধু বালুচর। ফসলের জমিতে প্রয়োজনীয় সেচে পানিও মিলছে না অনেক জায়গায়। ফসলভরা মাঠ পানির অভাবে ক্রমেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দেখে হাহুতাশ করছেন কৃষকরা। পানি শূন্য তিস্তায় হেঁটেই পার হওয়া যায়। নদীটি দিয়ে এখন গাড়িও চলে। প্রমত্তা তিস্তার ভরা যৌবন আর এখন নেই। যার কোথাও হাঁটু পানি কোথাও বা কোমর পানি।খরস্রোতা তিস্তা এই অক্টোবর মাসেই পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুম শেষ না হতেই যৌবন হারিয়ে ধু-ধু বালুচরে পরিণত হয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ এ নদী।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে এখন পানি প্রবাহ গড়ে রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার কিউসেক। কিন্তু প্রতিদিনই কমছে পানি, জেগে উঠছে একের পর এক বালুচর।
সূত্র জানায়, চলতি অক্টোবরের মাঝামাঝিতেই তিস্তার পানি প্রবাহ কমতে শুরু করেছে। পর্যাপ্ত পানির অভাবে তিস্তা ব্যারেজের সেচ কার্যক্রম ভেঙে পড়বে। তাই আসন্ন সেচ মৌসুমে তিস্তার পানির হিস্যা পাওয়া জরুরি। আর এক মাস পরেই সেচ নির্ভর ইরি-বোরো ও রবি আবাদের কার্যক্রম শুরু হবে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এ এস এম আমিনুর রশিদ মুঠোফোনে এনবি.নিউজ ৭১ কে জানান, তিস্তা সেচ প্রকল্পসহ তিস্তা নদীকে বাঁচিয়ে রাখতে ন্যূনতম পানির প্রয়োজন প্রায় ২০ হাজার কিউসেক। অথচ বর্ষা শেষ না হতেই গত ১০ দিনে ব্যারেজের মূল গেটের পানি প্রবাহ এসে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৮০০ কিউসেকে, যা দিয়ে তিস্তা ব্যারেজের সেচ কার্যক্রম চালানো কঠিন।
কৃষকদের মতে, বোরো রোপণ থেকে গাছের শীষ হেলে না পড়া পর্যন্ত জমিতে সেচ দিতে হয়। এ কারণে তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের আওতাভুক্ত এলাকার কৃষকরা তিস্তার সেচের উপরই নির্ভর করে থাকেন।
ওয়াকেবহাল সূত্রে জানা যায়, ভারতের গজলডোবার প্রবেশ মুখে ও লালমনিরহাটের দোয়ানিতে ব্যারেজ নির্মাণ করে এ নদীর দুর্বার গতিকে রোধ করা হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন ক্যানেলের মাধ্যমে তিস্তার স্রোত ঘুরিয়ে দিয়ে তার বুক থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে পানি প্রবাহ। ফলে মরে গেছে তিস্তা, দীর্ঘ এ তিস্তার বুক জুড়ে শুষ্ক মৌসুমে থাকছে শুধুই বালুচর। সেই ধারাবাহিকতায় এখন প্রতিদিনই পানি হ্রাস পাচ্ছে। খরস্রোতা তিস্তা নদীর নাব্য এখন এতোটাই হ্রাস পেয়েছে যে, আসন্ন রবি মৌসুমে দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের সেচ কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।