ঢাকাThursday , 12 March 2020
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লঞ্চে রুটি বিক্রেতা কে.এম রফিক স্বেচ্ছাসেবকলীগ করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ

Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদন:বরিশাল জেলার কাজিরহাট থানার আন্দার মানিক ইউনিয়নের ভাংগা ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক বিএনপির সভাপতি কুখ্যাত রাজাকার আবুল কাশেম খাঁনের ছেলে কে. এম. রফিক। বিগত ১২/১৩ বছর আগে তাঁর বাবা ও ভাই খোকন খাঁন সহ রফিক লঞ্চে লঞ্চে যাত্রীদের কাছে রুটি ফেরী করে বিক্রি করতো।

রফিক বিএনপির আমলে বরিশাল উত্তরের এক সময়ের ছাত্রদলের নেতা ছিলো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ধূর্ত রফিক তোশামদ করে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কয়েকজন নেতার মন জয় করে নেয় এবং নিজেকে মিরপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি বলে পরিচয় দিতে থাকেন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি পরিচয় দিয়ে এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক এক প্রভাবশালী নেতার নাম ভাঙিয়ে কে. এম. রফিক কতিপয় দুর্নীতিবাজদের মাধ্যমে ঢাকা শহরের বিভিন্ন রুটের বিহঙ্গ ও প্রজাপতি নামক পরিবহন চলাচলের রুট পারমিশন নেন।

পরিবহনের রুট পারমিশন পাওয়ার পরেই রফিক বেপরোয়া হয়ে ওঠে। পরিবহনে বিরামহীন চাঁদাবাজি ও হেলপার সুপারভাইজার নিয়োগের নামে অসহায় মানুষদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে অল্পদিনেই রুটি বিক্রেতা রফিক বনে যান কোটিপতি!

বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ ও হিজলা আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথের নাম ভাংগিয়ে ঢাকায় ও বরিশালে শুরু করেন অবৈধ্য কেসিনিও ও মাদক ব্যবসা। অবৈধ্য অস্ত্রধারীদের নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্য বিস্তার করতে চাইলে বিষটি সাংসদের নজরে আসে এবং মাননীয় সংসদ সদস্য রফিককে এলাকা থেকে বের করে দেন।

আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগে অনুপ্রবেশের আগে রফিক বিএনপির আমলে জয়নাল আবেদিন ফারুখের ঘনিষ্ঠ জন হিসেবে পরিচিত ছিলেন এ বিষয়ে এলাকার গন্যমান্য সবাই অবগত আছেন।

কালো টাকার প্রভাবে কিছুদিন আগে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রফিক আওয়ামিলীগ থেকে নমিনেশন চান এবং তাহার কু-কর্মের কথা জেনে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগে তাকে নমিনেশন দেন নি।
পরর্বতীতে সে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের বিপক্ষে সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন এবং বিপুল পরিমান কালো টাকা তাহার লালিত সন্ত্রাসী বাহিনীদের পিছনে খরচ করেন। কিন্তু অই এলাকার সমগ্র জনগন তাহার বিরুদ্ধে অবস্থান করে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা জনাব এ.কে.এম মাহফুজুল আলমের পক্ষে অবস্থান নিয়ে তাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেন।

উক্ত নির্বাচনে রফিক ৫ লক্ষ ভোটের মধ্য মাত্র তিন শত ভোটের কম পেয়ে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে এলাকা ত্যাগ করেন। কিন্তু এলাকায় তাহার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীরা জুয়া,মাদক এবং ডাকাতির মতো কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

মাঝে মাঝে তাহার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীদের মেদেন্দিগঞ্জ ও হিজলা থানার পুলিশ ধাওয়া করলে তারা ঢাকা চলে আসে এবং সে তাহার সন্ত্রাসী বাহিনীদের কে তার বিহঙ্গ ও প্রজাপতি নামক পরিবহনের ভিভিন্ন রুটে সুপারভাইজার ও লাইন ম্যান হিসেবে পদায়ন দিয়ে পরিবহন চাঁদাবাজী করান।
ছবিতে বিএনপি নেতা মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে কে. এম. রফিক(গোল চিহ্নিত)

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।