ঢাকাSunday , 22 August 2021
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রামুতে স্মরণ সভায় সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিএনপি-জামায়াত জোটের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র ২১ আগস্ট

Link Copied!


প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
রামুতে বিভীষিকাময় রক্তাক্ত ২১ আগস্ট স্মরণ সভায় আলহাজ¦ সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি বলেছেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে শুধু শেখ হাসিনাকে নয়, পুরো আওয়ামী লীগকে হত্যা করার জন্যে বিএনপি-জামায়ত চক্রান্ত করেছিলো। সারা পৃথিবীতে এই কলংকময় ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ আগস্ট একটি নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে চালানো হয় নজিরবিহীন হত্যাযজ্ঞ। গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হিংসার দানবীয় সন্ত্রাস আক্রান্ত করে মানবতাকে। আক্রান্ত হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা। গতকাল শনিবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় রামু চৌমুহনী চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত বিভীষিকাময় রক্তাক্ত ২১ আগস্ট স্মরণ সভায় প্রধান আলোচকের বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাফর আলম চৌধুরী এ স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ¦ সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় আয়োজিত সমাবেশে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এসে সন্ত্রাসের শিকার হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ওই ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীরা মানববর্ম রচনা করে সভাপতি শেখ হাসিনাকে রক্ষা করলেও গ্রেনেডের আঘাতে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী প্রাণ হারান। সেই দিনের গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের, হাসান মাহমুদ, সাবের হোসেন চৌধুরী সহ কয়েক শত নেতাকর্মী শত শত স্পিøন্টার বুকে নিয়ে বেঁচে আছেন, আল্লাহর রহমতে। গ্রেনেড হামলার বিচারের রায়ে তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি জোট সরকারের মন্ত্রী ও তৎকালীন সরকারের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততায় প্রমাণ মেলে ওই সরকারের প্রত্যক্ষ মদতেই হামলাটি পরিচালিত হয়েছিল।
কক্সবাজার-৩ আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল এম পি বলেন, শেখ হাসিনার বিকল্প নেই, শেখ হাসিনার বিকল্প শুধুই শেখ হাসিনা। আল্লাহর রহমত না থাকলে কি, শেখ হাসিনা বেঁচে থাকতেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে সকলকে হত্যা করা হলো। আল্লাহ শেখ হাসিনা-শেখ রেহেনাকে রেখে দিলেন। এম পি কমল বলেন, বিএনপি মানুষকে আর কতো মিথ্যা কথা বলে, খুনীকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবেন। আর কতো দেশকে পিছনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করে, এই বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দিতে চেয়ে ছিলো। তাদের নাম কিন্তু মুছে যাচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে। খালেদা জিয়া আদালতে দুর্ণীতিবাজ হিসেবে আদালতে স্বীকৃত আজ । আগামী নির্বাচনে তিনি নির্বাচন করতে পারবে না। বাংলাদেশে কোন জঙ্গীবাদ স্থান পাবে না।
রামু উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন সমূহের আয়োজনে ইতিহাসের ভয়াবহতম গ্রেনেড হামলার ১৭ তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এ স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন, প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা মাষ্টার ফরিদ আহমদ। বিভীষিকাময় রক্তাক্ত ২১ আগস্টকে স্মরণ করে সভায় বক্তৃতা করেন, উপজেলা কৃষক লীগ সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিন, উপজেলা স্বেচ্ছ সেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিক, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ওসমান সরওয়ার মামুন, সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়া, জেলা তাঁতীলীগের সহ-সভাপতি আনছারুল হক ভূট্টো, যুবলীগ নেতা শাহাদাৎ হোসেন হিরু, নবিউল হক আরকান, তাঁতীলীগ নেতা নুরুল আলম জিকু, স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা আজিজুল হক আজিক, সৈনিক লীগ নেতা মিজানুল হক রাজা সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। ‘বিভীষিকাময় রক্তাক্ত ২১ আগস্ট’ স্মরণ সভা সঞ্চালনা করেন, ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হোছাইন রিয়াদ।
স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, ২১ আগস্ট ইতিহাসের বর্বরোচিত ও বীবৎস হত্যাযজ্ঞের দিন। মৃত্যু ও রক্ত¯্রােতের নারকীয় নজিরবিহীন গ্রেনেড হামলার দিন আজ। তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে এই নারকীয় হত্যাকান্ড চালানো হয় ২০০৪ সালের এই দিনে। নিত্য প্রাণবন্ত বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কার্যালয় প্রাঙ্গন ওইদিন মুহূর্তেই পরিণত হয়েছিল মৃত্যুপুরীতে। সেদিন যদি ঘাতকদের নিক্ষিপ্ত গ্রেনেড সমাবেশের জন্য ব্যবহৃত ট্রাকে বিস্ফোরিত হতো, তবে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কোনো সিনিয়র নেতাই প্রাণে রক্ষা পেতেন না।
ভয়াল রক্তাক্ত ২১ আগস্টের প্রত্যক্ষদর্শী কক্সবাজার সদর-রামু-ঈদগাঁও আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী’ শান্তি মিছিলের আয়োজন করেছিল তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ। আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি মিছিলের আগে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে স্থাপিত অস্থায়ী ট্রাকমঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা চলাকালে উপর্যপুরি গ্রেনেড হামলা শুরু হয়। বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হতে থাকে একের পর এক গ্রেনেড। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহুর্মুহু গ্রেনেড বিস্ফোরণের বীভৎসতায় মুহুর্তেই মানুষের রক্ত-মাংসের স্তুপে পরিণত হয় সমাবেশস্থল। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ পরিণত হয় এক মৃর্ত্যুপুরীতে। গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের হাত-পাসহ বিভিন্ন অংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। সভামঞ্চ ট্রাকের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায় রক্তাক্ত নিথর দেহ। লাশ আর রক্তে ভেসে যায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। ভেসে আসে শত শত মানুষের গগনবিদারী আর্তচিৎকার। বেঁচে থাকার প্রাণপণ চেষ্টারত মুমূর্ষুদের কাতর-আর্তনাদসহ অবর্ণনীয় মর্মান্তিক সেই দৃশ্য। হামলায় আওয়ামী লীগের চার শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়ে, আজও মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এটা বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে রক্তপিপাসু বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোটের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র।
সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি বলেন, পৃথিবীতে অনেক রাজনৈতিক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু পৃথিবীর কোথাও একটি রাজনৈকিত দলকে হত্যা করা হয়েছে শুনিনি। জিয়াউর রহমান এই বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করলো। বঙ্গবন্ধু শুধু নয়, শেখ রাসেলের রক্তের দাগ জিয়াউর রহমানে চোখে-মুখে লেগে আছে। সেই খুনিদের সাথে আওয়ামীলীগের কখনও আপোষ হতে পারে না। হত্যাকারীদের সাথে আওয়ামী লীগের কখনও ঐক্য হতে পারে না। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার আমলে দেশ ছিলো অতল গহ্বরে। আজকে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ। আজকে আমাদের টাকায় পদ্মা সেতু হয়েছে। ২১ আগস্ট যদি শেখ হাসিনাকে হারাতাম, আমাদের পদ্মা সেতু কি হতো? এই দেশ কি আজকে উন্নত দেশে রুপান্তর হতো? শেখ হাসিনা বেঁচে আছে বলেই, আমাদের টাকায় পদ্মা সেতু হয়েছে। দেশ উন্নত দেশে পরিণত হচ্ছে।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।