ঢাকাTuesday , 11 June 2019
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাণীশংকৈলে জনজীবন স্থবির , ঝড় শুরু হওয়ার সাথে সাথেই বিদ্যুৎ উধাও!

Link Copied!

সফিকুল ইসলাম শিল্পী,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ

ঠাকুরগাঁও জেলার প্রত্যান্ত অঞ্চল রাণীশংকৈল উপজেলায় গতকাল শেষ রাতে প্রচন্ড ঝড় সহ বৃষ্টিপাত হয়েছে ১১ জুন রোববার সকাল থেকে অব্যাহত রয়েছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। রাতভর টানা বৃষ্টির ফলে জনজীবনে বিপর্যস্থ নেমে এসেছে। ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কৃষি আবাদ সমুহের, আমের বাগানগুলোতে ঝড়ে পড়েছে অনেক অপরিপক্ব আম। সবমিলে সমস্ত উপজেলায় ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, গাছপালা, ও রবিশস্যের ব্যপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সেই সাথে কর্মমুখী মানুষের ব্যবসা বানিজ্য অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত টানা বর্ষণের কারনে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বেরুতে পারেনি। উপজেলার আঞ্চলিক সড়কগুলো প্রায় জনশূণ্য দেখা গেছে।সকালে খেটে খাওয়া মানুষরা শ্রম বিক্রি করতে না পারায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। ছোট খাটো যাত্রীবাহী পরিবহন চালকেরা পেটের তাগিদে রাস্তায় আসলেও যাত্রী ছিল খুবই কম। বৈরী আবহাওয়ার প্রভাব পড়ায় ছিন্নমূল মানুষেরা পড়েছে চরম বেকায়দায় । আশানুরূপ বিক্রি না হওয়ায় অলস সময় পার করছেন দোকানদাররা। অপরদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ হয়ে পড়েছে ছিন্নভিন্ন। ঝড় শুরু হওয়ার সাথে সাথেই বিদ্যুৎ উধাও। বিদ্যুতের আলোবিহীন এ এলাকার পরিবার গুলোকে পার করতে হয়েছে কষ্টের সময়। কখন আসবে বিদ্যুৎ কেউ জানেনা ফলে বিদ্যুৎ চালিত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থাও একেবারে নাজেহাল। সংবাদকর্মীদের হাতে সংবাদ সংগ্রহীত থাকলেও সংশ্লিষ্ট পত্রিকা কিংবা নিউজ পোর্টালে সংবাদ পাঠানো যাচ্ছেনা। ভ্যান চালক ওহিদুল জানান, সোমবার রাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শেষ রাতে তান্ডব ঝড়, পেটের তাগিদে গাড়ী নিয়ে রাস্তায় বের হলেও যাত্রী চোখে পড়ছে না। পরিবার পরিজনের খরচ যোগাতে হিমসিস খাচ্ছেন তিনি। ব্যাটারী চালিত অটোবাইক চালক সফি বলেন,ঝড় বৃষ্টির সাথে বিদ্যুৎ না থাকায় গাড়ির ব্যাটারিতে চার্জ দিতে পারিনি। ফলে বাইক নিয়ে রাস্তায় বের হওয়া সম্ভব হয়নি। এলাকার বেশিরভাগ লোকেই বলেন, আকাশের মেঘ দেখা গেলে কিংবা একটু জোড়ে বাতাস বইলেও বিদ্যুৎ হাওয়া হয়ে যায় এ যেন পল্লীবিদ্যুতের অতিপরিচিত এক কালচার। তাই গতকাল রাত থেকেই এ সুযোগ নিয়েছে পল্লীবিদ্যুৎ পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ। বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যবসার সকল কাজ বন্ধ রয়েছে। রাণীশংকৈল পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের এজি এম অমিত কুমার শাহ বলেন, ঝড় বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। হরিপুর লাইনে কাজ শেষ হয়েছে ,পীরগঞ্জ-রাণীশংকৈলে সংস্কার কাজ চলমান থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। কখন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিকালের মধ্যে বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব হতে পারে। এদিকে দুপুরের পর আকাশে রোদ দেখা দিলে জনজীবনে ফিরে আসে স্বাভাবিক কর্মতৎপরতা। বিকালের দিকে পৌরশহরে বিদ্যুৎ দেখা গেলেও গ্রামগুলোতে তখন পর্যন্তও বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পারেনি পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।