মুহাম্মদ নোমান ছিদ্দীকী: আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি না দিলে এবং দাবি পূরনের আশ্বাস না পেলে সারা দেশে আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দফায় দফায় মিছিল করে তারা রাজু ভাস্কর্য এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের অবস্থান থেকে একটি প্রতিনিধি দল সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে সচিবালয়ে গেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে তাদের বৈঠক চলছিল। বৈঠকে ছাত্রদের পক্ষে ১৯ জন এবং সরকারের পক্ষে ১১ জন রয়েছেন।
এদিকে রোববারের হামলা-সংঘর্ষের পর আজ সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সকালে ছাত্রলীগ তাদের অবস্থানে হামলার চেষ্টা করলে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে শিক্ষার্থীরা। দুপুরে জমায়েত বড় হলে শিক্ষার্থীরা টিএসসি এলাকাসহ ক্যাম্পাস থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সরে যেতে বলে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টিএসসি এলাকা ছেড়ে যায়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অবস্থান চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান নেন।
দুপুর বারোটার দিকে আন্দোলনকারীদের মিছিল শাহবাগের দিকে এগুলো পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে মিছিলটি টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। এর আগে খন্ড খন্ড মিছিল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হল থেকেও এসে যোগ দিতে থাকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। এর আগে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সকাল সাতটার দিকে দোয়েল চত্বর এলাকায় জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সকাল থেকে সেখানে জড়ো হওয়া কয়েক হাজার শিক্ষার্থীকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিপেটা ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকে কার্জন হল ও দোয়েল চত্বর এলাকায় অবস্থান নিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ ছাত্রলীগ পুলিশের পাশাপাশি লাঠি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। ছাত্রলীগের মিছিল থেকে গুলির অভিযোগও করেছেন আন্দোলনকারীরা।
উল্লেখ্য, কাটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গতকাল রোববার রাত আটটা থেকে পুলিশের সংঘর্ষ, ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। রাতে উপাচার্যের বাসভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় আন্দোলনকারীরা।