মোঃহাফিজুর রহমান, মোংলা।
ঝিনাইদাহের কোটচাঁদপুর উপজেলা থেকে পরিবারের সাথে অভিমান করে মোংলা সুন্দরবনে থাকার কথা বলে পালিয়ে বাড়ি থেকে চলে আসে ‘মা’ হারা কলেজ পড়ুয়া এক তরুনী সাহারা (২০)। মোংলার সুন্দরবন ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউ,পি সদস্য মাসুদ শিকদার যানান গত কাল সকাল ১১ টার দিকে মোংলা সুন্দরবন ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে ঘুরতে থাকে মেয়েটি। স্থনিয়রা সন্দেহ করতে থাকে পরিশেষে রাত ৯ টার দিকে গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) ও স্থনিয়রা মিলে খুজঁতে বের হয় অবশেষে খুঁজে পেয়ে মেয়েটি’কে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে মেয়েটি কোন কথা বলে না। অবশেষে ভুল ঠিকানা দেয় বলে বাড়ি যশোর।
স্থনিয়রা যানায় মেয়েরটির ব্যাগে একটি কুরআনশরিফ, একটি বাটি, ১৮ হাত লম্বা একটি রশি, নগত ৮ হাজার টাকা এবং মোবাইলের বিকাশে ২৫ হাজার টাকা ও প্রযাপ্ত পরোনের কাপড় ছিলো। পরে রাত সাড়ে ১০ টার দিক সুন্দরবন ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) নিয়ে আসে মোংলা থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয় মোংলা থানা এস,আই, গৌতম যানান মেয়েটি ‘মা’ নেই, আসলে বাড়ি থেকে পরিবারের সদস্যদের সাথে অভিমান করে এসেছে মোংলায়। আমরা একাধীক বার জিজ্ঞাস করেছি সে পরিবারের সদস্য দের সাথে আত্মহত্য করতেই এসেছে বলে আমাদের যানায়। মেয়েটি আরো বলেছে সুন্দরবনে অবাসস্থল গড়ে জীবন জাপন করার মুল লক্ষ ছিল তার, নয়তোবা আত্মহত্য করার সিধাস্ত। মেয়েটি ঝিনাইদাহ জেলার কোটচাঁদপুর একটি কলেজের ইন্টার ২য় বর্ষের ছাত্রী বলে যানা গেছে।
মোংলা থানার এএসআই সেলিম আহমেদ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে তার পরিচয় নিশ্চিত করেছে। আটক কিশোরীর নাম সাহারা (২০)। সে ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার কামারডাঙ্গা গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে।
১৭ তাং সোমবার সকাল ১১ টার দিকে মেয়েটির খালা এসে থানা থেকে নিয়ে যায়।
এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।