গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বলনারায়ন বাজারে অগ্নিকান্ডে ৪টি দোকান ভষ্মিভ’ত হয়েছে। রোববার দিবাগত রাতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে মুকসুদপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে দুই ঘন্টা ধরে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছে।
ক্ষতিগ্রহ্য দোকান মালিকরা হলেন, জিকির খন্দকারের মুদি দোকান, শ্যীবাস বিশ্বাসের রেডিমেন্ট গার্মেন্টসের দোকান, মোহব্বাত খোন্দকারের শাড়ীর দোকান ও হাফিজুর রহমানের কাপড়ের দোকান।
ভুক্তিভোগীদের ধারনা আগ্নিকান্ডে তাদের প্রায় কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছেবলে তারা ধারনা করছেন।
মুকসুদপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাজিব হোসেন জানান, গভীর রাতে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় দুই ঘন্টা ধরে চেষ্টা চালিয়ে অগ্নিকান্ড নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন।
তিনি আরও বলেন, ওই বাজারের জিকির খোন্দকার ও শ্রীবাস বিশ্বাসের দোকান থেকে প্রথম আগুনের সূত্রপাত হয়। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন। কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এই মুহূর্তে নিরুপন করা সম্ভব হয়নি। তবে ক্ষতিগ্রস্থদের ধারনা অগ্নিকান্ডে তাদের অন্তত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বলনারায়ন বাজারের ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিক জিকির খোন্দকার বলেন, খবর পেয়ে বাজারে এসে আমার দোকানসহ ৪টি দোকান দাউদাউ করে জ্বলতে দেখি। আমার চোঁখের সামনে সবকিছ’ শেষ হয়ে গেছে। অগ্নিকান্ডে তিনি একেবারে পথে বসে গেছেন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পরিবার পরিজন নিয়ে এমনিতে কঠিন দুরাবস্থার মধ্যে তার দিন কাটছে। তারপর অগ্নিকান্ড তাকে একবারে নিঃস্ব করে দিয়েছে। পরিবার পরিজন নিয়ে তার কিভাবে এখন দিন কাটবে সেই দুশ্চিন্তা তাকে কুরে কুরে খাচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, স্থানীয় দলাদলি ও নোংড়া রাজনীতির কারনে শত্রুতামুলক ভাবে প্রতিপক্ষের লোকজন এসব দোকনপাট আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বলে তার ধারনা।
বলনারায়ন বাজারের বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক সোহেল রানা বলেন, শত্রতামূলকভাবে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি আশংকা করছেন। প্রশাসন বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করবে বলে তিনি দাবী করেন। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকদের পুণর্বাসনে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসন ব্যবস্থা নেবেন বলে তার প্রত্যাশা।