এম সাঈদ, বেনাপোল: মাদক বিরোধী অভিযানে সন্তোষজনক ভূমিকা রাখতে না পারায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেনাপোল পোর্ট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত)ফিরোজ আহম্মদ কে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
কোন ওসি যোগদান না করা পর্যন্ত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন সেকেন্ড অফিসার এস আই শরীফ হাবিবুর রহমান।
জানা গেছে, বেনাপোল পোর্ট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান বেশ কিছুদিন যাবত গলব্লাডারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এসময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পান ফিরোজ আহম্মদ (ওসি তদন্ত)। তিনি তার ইচ্ছে মত করে থানা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।সম্প্রতি সরকার দেশে মাদক মুক্ত সমাজ গড়ার ঘোষণায় নড়ে-চড়ে বসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
শিকড় থেকে মাদকের মূল তুলে আনার হুংকার ও মাদকের জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেন বর্তমান ডিআইজি। কিন্তু এ ঘোষনায় বেনাপোল পোর্ট থানা তেমন কোন সফলতা দেখাতে পারেনি। ফলে তারই ধারাবাহিকতায় বেনাপোল পোর্ট থানার আইন-শৃঙ্খলা ও মাদকের বিরুদ্ধে কোন সফলতা না থাকায় ফিরোজ আহম্মদ (ওসি তদন্ত) কে যশোর পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়।
এ ব্যাপারে ফিরোজ আহম্মদকে (ওসি তদন্ত) সাংবাদিকদের বলেন, আমি আর কি বলব ? আমার ব্যর্থতার কারণে আমাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে বর্তমানে যে অভিযান চলছে তাতে আমার থানায় সফলতা অর্জন করতে পারি নাই । আমার ওসি স্যার নাই এবং অফিসারের সংখ্যা কম থাকায় আমি ব্যর্থ হয়েছি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন শিকদার সাংবাদিকদের বলেন, চলমান মাদক বিরোধী কর্মকান্ডে কোন সফলতা না থাকায় তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।