এম সাঈদ:যশোরের শার্শারর বাগআঁচড়ায় এক সি এন জি চালককে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে যশোর সাতক্ষীরা মহাসড়কের উপর টায়ার জ্বালিয়ে ও কাঠের গুড়ি ফেলে রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় শ্রমিকরা। এসময় এক ঘন্টা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।পরে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ পরিদর্শক এস আই সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ এসে শ্রমিকদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
স্থানীয়রা জানান, যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া- নাভারন – বেনাপোল শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সহ যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও বর্তমানে সি এন জি চালক জামিরের সাথে নাভারন হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পলিটন মিয়ার বাক-বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এসময় হাইওয়ে পুলিশ জামিরকে লাঞ্চিত করে হাতে হাতকড়া পরায়।
এঘটনায় বাগআঁচড়া শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারন সম্পাদক আনিসুর রহমান কিনার নেতৃত্বে সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে শ্রমিকরা ও সিএনজি চালকরা যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের বাগআঁচড়া জিরো পয়েন্টে টায়ার জ্বালিয়ে গাছের গুড়ি ফেলে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়।তারা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পলিটন মিয়ার বদলির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। এসময় সাড়ে ১১ টা থেকে সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত এক ঘন্টা যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তার দুধারে যানবাহন সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে থাকলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
সাধারন যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ে। খবর পেয়ে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক এস আই সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ এসে শ্রমিকদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।যানচলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়।এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল।বাজারে পুলিশ টহল দিচ্ছিল।
এব্যাপারে নাভারন হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পলিটন মিয়া জানান, সিএনজি চালক জামির সহ অন্যন্য সিএনজি চালকদের নামে মামলা থাকায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে গেলে ও অবৈভ সিএনজি বন্ধ করে দিলে তারা পুলিশের উপর হামলা চালায়।
বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর অফিসার ইনচার্জ হুমায়ন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,সিএনজি চালকরা যশোর সাতক্ষীরা মহাসড়ক বন্ধ করে দিলে খবর পেয়ে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এখন যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে।জনসাধারনের ভোগান্তি হয় এমন কোন কাজ করতে দেওয়া হবে না। পরে পুলিশের এএসপি হাফিজুর রহমান ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের সাথে কথা বলে বিষয়টি মিমাংসা করেন।