ঝিকরগাছার বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শাহিনুর রহমান শাহিনের বিরুদ্ধে চোরাচালানীর রুট বাণিজ্যের ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্র বলছে এতে তার মাসিক আয় হচ্ছে কয়েক লক্ষ টাকা। চোরাচালানী ও মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তিনি সখ্য গড়ে তুলায় চোরাকারবারি ও মাদক ব্যবসায়ীরা ব্যাপক বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সেই সাথে এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিও ঘটেছে। এ পরিস্থিতিতে এলাকাবাসী মধ্যে চরম উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় বিরাজ করছে। জানাগেছে, ঝিকরগাছার বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিনুর রহমান শাহিন ইনচার্জ হিসাবে যোগদানের পর থেকে চোরাচালানীর রুট বাণিজ্যে মেতে উঠেছে তিনি। ইনচার্জ শাহিন তার নিজস্ব লোক বাঁকড়ার জনৈক রাজ্জাক নামের এক মাদক ব্যাবসায়ীকে দিয়ে রুট বাণিজ্য করে মসোহারা হিসেবে আয় করছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সূত্র জনায়, কাজীরহাট – মনিরামপুর ভায়া বাঁকড়া রোড, হাড়িখালি-ঝিকরগাছা ভায়া বাঁকড়া রোড, বাগআঁচড়া -ঝিকরগাছা ভায়া বাঁকড়া রোড দিয়ে চোরাচালানী ও মাদক ব্যবসায়ীরা ফেনসিডিল, মদ, গাঁজা ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য ও ভারতীয় পণ্য দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার নিরাপদ রুট হিসাবে বেঁছে নিয়েছেন। ইনচার্জ শাহিন তার নিজস্ব লোক রাজ্জাককে দিয়ে চোরাচালানী টোকেন স্লিপ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ফলে শার্শার ও কলারোয়ার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকার শ’ শ’ ব্যবসায়ীর ভারতীয় পণ্য ও মাদক দ্রব্য এঅঞ্চলে এসে জমা হয় বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শাহিনের তত্বাবধানে। ফলে এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা দেদারছে বুক ফুলিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের চোরাচালান ও মাদক ব্যবসা। বিষয়টি নিয়ে বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শাহিনুর রহমান শাহিনের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে কথা বলার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। এব্যপারে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছে।