ঢাকাWednesday , 12 June 2019
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বন্ধুর মেয়েকে তিনবছর থেকে ধর্ষণ!

Link Copied!

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় (কচাকাটা পুলিশ স্টেশন) বন্ধুর মেয়ে অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে তিন বছর ধরে নিজের লালসার শিকার বানিয়েছে আরেক বন্ধু। নিগৃহীত মেয়েটি জানিয়েছে ,যখন সে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তখন বাবার ওই বন্ধু তার শশুর বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে প্রথম ধর্ষণ করে। পরে তিনবছর যাবত অসংখ্যবার তাকে মিলনে বাধ্য করেছে সে। বুধবার সকাল ৯টায় মিলনরত অবস্থায় আটকিয়ে ঘটনাটি জনসম্মুখে নিয়ে আসে ওই ধর্ষকেরই স্ত্রী। এদিকে ধর্ষক প্রভাবাশালী হওয়ায় ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে একটি মহল।
ঘটনাটি ঘটেছে জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার (কচাকাটা পুলিশ স্টেশন) বলদিয়া ইউনিয়নের পূর্বকেদার গ্রামে। ওই গ্রামের কুদ্দুস প্রধানীর ছেলে দুই সন্তানের জনক মকবুল হোসেন প্রধানী(৪৫)তিন বছর থেকে নিজের লালসার শিকার বানিয়েছে একই গ্রামের বন্ধু সকিয়ত মিয়ার মেয়ে এবং কাশেম বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থী কুসুম (ছদ্দনাম) (১৪) কে। কুসুম (ছদ্দনাম) জানায়, বাবার বন্ধু হওয়ায় মকবুল তাদের বাড়িতে যাতায়াত করতো এবং প্রতিবেশী হওয়ায় কুসুমও (ছদ্দনাম) মকবুলের বাড়িতে যাতায়াত করত। যাতায়াত সূত্রে মকবুলের স্ত্রী মুক্তার সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। সে আরোও জানায়, ব্যাপারীটারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময় মকবুল এবং তার স্ত্রী মুক্তা বেগমের সাথে নাগেশ্বরী উপজেলার শাপখাওয়া গ্রামে তার (মুক্তার) বাপের বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে একটি ঘরে মকবুল এবং কুসুমকে (ছদ্দনাম) রেখে মকবুলের স্ত্রী মুক্তা বাইরে থেকে ঘরের দরজা আটকিয়ে দিয়ে চলে যায়। সেখানেই মকবুল তাকে জোড় করে ধর্ষণ করে। পরে কান্নাকাটি করলে মকবুল তাকে বিয়ের প্রলোভন দেয় এবং পরে কুড়িগ্রাম নিয়ে গিয়ে তাকে মৌখিক বিয়ে করে। সেই থেকে তিন বছরে যখন তখন তাকে ডেকে মিলনে বাধ্য করতো মকবুল।
বুধবার সকালে তার (মেয়েটির)বাড়ির মোবাইল নাম্বারে ফোন দিয়ে পার্শবর্তি ভ্যান চালক শামছুলের বাড়িতে ডেকে নিয়ে মিলনে বাধ্য করে মকবুল। এদিকে মকবুলের স্ত্রী মুক্তা এসে তাদেরকে হাতে নাতে আটক করে তাকে মারধোর করতে থাকে। পরে একই এলাকার আনছার আলীর ছেলে মিন্টুসহ কয়েকজন গ্রামবাসী তাকে উদ্ধার করে। এসময় মকবুল পালিয়ে যায়।
এদিকে মেয়ের এমন কান্ডে লোকলজ্জায় বাড়িতে ঠাই দেয় নাই মেয়েটির পিতা মাতা। পরে গ্রামবাসী স্থানীয় জুরান আলীর বাড়িতে নিয়ে আসে কুসুমকে (ছদ্দনাম)। সেখান থেকে ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম হায়দার জানান, মেয়েটির বাবা মেয়েটিকে বাড়িতে তোলেননি তাই স্থানীয় ইউপি সদস্যর জিম্মায় তার বাড়িতে রাখা হয়েছে।
ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা চালাচ্ছি দেখি শেষ পর্যন্ত কি করা যায়।
কচাকাটা থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে সবার সাথে কথা বলেছি, এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।