ঢাকাSaturday , 31 March 2018
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে ব্রিটিশ নাগরিক লুসি হেলেন এর হাতে স্থায়ী নাগরিকত্ব সনদ তুলে দেন

Link Copied!

এনবনিউজ একাত্তর: বাংলাদেশকে ভালোবেসে যুগের পর যুগ মানুষের সেবায় নিয়োজিত ব্রিটিশ লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্টকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।শনিবার বিকালে লুসি হল্টের হাতে বাংলাদেশের নাগরিকত্বের সনদটি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এসময় জাতির জনকের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা এবং শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।৮৭ বছর বয়সী লুসি জীবনের ৫৭ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশে; এদেশের মাটি ও মানুষকে ভালবেসে ভুলে থেকেছেন পরিবারকে।

মৃত্যুর আগে তার একটাই চাওয়া ছিল ‘দ্বৈত নাগরিকত্ব’; শনিবার তিনি তা পেলেন।১৯৩০ সালের ১৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের সেন্ট হ্যালেন্সে জন্ম লুসি হল্টের। বাবা জন হল্ট ও মা ফ্রান্সিস হল্ট।মানুষের সেবা করার জন্য ১৯৬০ সালে বরিশালের অক্সফোর্ড মিশনে যোগ দেন লুসি।

এদেশে এসে অক্সফোর্ড মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের পড়ানো শুরু করেন।একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন যশোর ক্যাথলিক চার্চে শিশুদের ইংরেজি পড়াতেন তিনি। যুদ্ধের কারণে চার্চ বন্ধ করে সবাই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেলেও যাননি লুসি হল্ট। যুদ্ধাহত মানুষদের সেবা দিয়েছেন তিনি।মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭৩ সালে শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের কাছে চিঠি ও উপহার পাঠান লুসি হল্ট। মা’র হয়ে লুসিকে চিঠির জবাবও দিয়েছিলেন শেখ রেহানা।

২০০৪ সালে অবসরে যাওয়ার আগে খুলনা, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, গোপালগঞ্জ ও ঢাকায় কাজ করেছেন লুসি হল্ট। অবসর জীবনে তিনি বরিশাল অক্সফোর্ড মিশনের শিশুদের মানসিক বিকাশ ও ইংরেজি শিক্ষা দিচ্ছেন।অবসরের পর সবাই দেশে ফিরে গেলেও তিনি যাননি।

বাংলাদেশে ও বরিশালের সঙ্গে তার আত্মার সম্পর্ক।বাকি জীবনটা বরিশালেই কাটিয়ে দিতে চান লুসি। তার শেষ ইচ্ছা, মৃত্যুর পরে তাকে যেন বাংলাদেশের মাটিতেই চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।অবসরকালীন ভাতা সাড়ে সাত হাজার টাকা দিয়ে জীবন চালিয়ে নিচ্ছেলেন লুসি। কিন্তু প্রতিবছর ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ৩৮ হাজার টাকা দেওয়া তার জন্য কষ্টকর হচ্ছিল।

চলতি বছরের ৮ ফেব্র“য়ারি লুসি হল্টকে ১৫ বছরের মাল্টিপল ভিসা দেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে ভবিষ্যতের জন্য তার ভিসা ফি মওকুফও করা হয়ে ছিল। এখন আর সেসবের প্রয়োজন হবে না।প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করায় লুসি হল্টকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।এক সময় শেখ ফজিলাতুন্নেসার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা ছিল জানিয়ে লুসি বলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে পেরে তিনি আনন্দিত।

অনুষ্ঠানে শেখ রেহানার সঙ্গেও কথা বলেন লুসি হল্ট।গণভবনে এই অনুষ্ঠানে মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।