ঢাকাMonday , 11 January 2021
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পৌর নির্বাচনকে ঘিরে কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরীতে  জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা

Link Copied!

রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
আসন্ন দ্বিতীয় দফায় কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৬ জানুয়ারি। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা তুঙ্গে উঠলেও ভোটার আগ্রহে সে ভাবে ঢেউ ওঠেনি। সকল দলের প্রার্থী অংশ নিলেও আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থী থাকায় ভোট গ্রহণের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে রয়েছে শংকা।
আগামী ১৬জানুয়ারি পৌর নির্বাচনকে ঘিরে কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরীতে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা। পোষ্টার,লিফলেট আর মাইকিং দিয়ে চলছে প্রচারণা। আধুনিক পৌরসভা করাসহ নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রার্থীরা কর্মী সমর্থকসহ হাট-বাজার এবং ভোটারের বাড়ি-বাড়ি যাচ্ছেন। গণসংযোগে রাতদিন ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। প্রার্থনা করছেন ভোট, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। যোগ দিচ্ছেন উঠোন ও খুলি বৈঠকে। প্রচারণায় পিছিয়ে নেই জেলা ও স্থানীয় নেতাবৃন্দ। মেয়র পদে আওয়ামীলীগের দুই প্রার্থী থাকায় নির্বাচনী মাঠে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। আওয়ামীলীগের প্রার্থী ফরহাদ হোসেন ধলুর পক্ষে জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীরা মাঠে কাজ করলেও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগের একাংশসহ নিজস্ব শক্তি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন মোহাম্মদ হোসেন ফাকু। ভোটের দিন প্রভাব বিস্তার করা নিয়ে প্রার্থীদের রয়েছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। নির্বাচনী মাঠে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করায় যে কোন মুহূর্তের সংঘাতের শংকা কাজ করছে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে।
পৌরসভার বাসিন্দা আবু বকর বলেন,এখন পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে বিশৃংখলা দেখা যায়নি। তবে ভোটের দিন পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ থাকবে কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। যেহেতু আওয়ামীলীগের হেভিয়েট দু’প্রার্থী মাঠে থাকায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। সেক্ষেত্রে একটা সংশয় রয়েছে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠানের।
শিল্পি রাণী বলেন, আমরাই পৌরবাসী একজন সৎ যোগ্য ব্যক্তি চাই। যে আগামীতে পৌরসভার উন্নয়ন করবে রাস্তা, ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ কর্মসংস্থানের।
সুলতান মাহমুদ জানান, সবাই ভোটে দ্বাঁড়াইছে। সবাই জিততে মরিয়া হয়ে আছে। এই কারণে শংকা উড়িয়ে দেয়া যায় না। প্রার্থীদের মধ্যে অন্যান্য দলের তেমন শক্তি সামর্থ্য কম হলেও আওয়ামীলীগের দু’ প্রার্থীও মধ্যেই মূল লড়াই হবে। সেক্ষেত্রে ভোটের দিন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার শংকা রয়েছে। তারপরেও আমরা ভোটাররা চাই শান্তিপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠিত হোক।
বিএনপি ধানের শীষ প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বলেন,ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা দাপটে কিছুটা নির্বাচনী প্রচারণায় বেগ পেতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হলে নিরঙ্কুশ ভোটে জয়ী হবার সম্ভাবনা দেখছেন তিনি।
নারিকেল গাছ প্রতিক নিয়ে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র মোহাম্মদ হোসেন ফাকু নিজেকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য দাবী করেন  বলেন,জনপ্রিয়তার কারণে তিনি ভোটে অংশ গ্রহণ নিয়েছেন। নৌকা প্রার্থীর কোন জনপ্রিয়তা নেই। ফলে তারা প্রশাসন এবং নেতাকর্মী দিয়ে প্রবাহিত করার অভিযোগ করেন।
নৌকা প্রতিক নিয়ে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ফরহাদ হোসেন ধলু প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিপক্ষ প্রার্থীরা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ভিত্তিহীন অভিযোগ করে আসছে। নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রয়েছে। সকল প্রার্থীরা শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। এতেই বোঝা যায় পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রয়েছে। সরকারের উন্নয়নের ধারবাহিকতায় বজায় রাখতে ভোটাররা আওয়ামীলীগকে ভোট দিয়ে জয়লাভ করবেন বলে তিনি আশাবাদি।
নাগেশ্বরী উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা বাবলু বলেন,আওয়ামীলীগের দুই হেভিয়েট প্রার্থী থাকায় নির্বাচনে সংঘাত সৃষ্টির আশংকা রয়েছে। এতে করে ভোট নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। কেউ আমাদের উপর প্রভাব বিস্তার করার  চেষ্ঠা করলে আমরা বসে থাকবো না। আমাদের শক্তি রয়েছে সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু নির্বাচনে প্রার্থী দেয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামীলীগের মধ্যে দ্বন্দ রয়েছে বলে স্বীকার তিনি করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর উপজেলা আওয়ামীলীগের কোন পদে নেই। স্বতন্ত্র প্রার্থী সুযোগ সন্ধানী। স্বার্থের জন্য সে নির্বাচনের সময় দল বদল করে থাকে। এবারও সে নৌকা প্রতিক নেবার জন্য আওয়ামীলীগের কিছু নেতাকর্মীকে ব্যবহার করেছে। নৌকা প্রতিক না পাওয়ায় দলের বিভ্রান্ত ছড়িয়ে আওয়ামীলীগের কিছু কর্মী সমর্থককে কাজে লাগাচ্ছে। সেসব দ্বন্দ নিরসনে কাজ করছে জেলা আওয়ামীলীগ। যেটুকু বিভ্রান্ত রয়েছে সেটা কেটে যাবে নিবার্চনের আগে।
জেলা নির্বাচন অফিসা সূত্রে জানাযায়, কুড়িগ্রামের নাগেশ^রী পৌরসভা ২০০১সালে ৪২ বর্গ কিলোমিটার আয়তন নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। ‘খ’ শ্রেণীর এই পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডে ভোটার রয়েছে ৪৬ হাজার ৮৫৮জন। এদের মধ্যে পুরুষ-২৩হাজার ৪৭২জন এবং নারী-২৩হাজার ৩৮৬জন। ভোট কেন্দ্র ২২টিতে রয়েছে ১৪৬টি কক্ষ। মেয়র পদে ৫জন প্রার্থী ছাড়াও কাউন্সিলর পদে-৪৩জন এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১২জন প্রার্থী প্রতি বদ্ধতা  করছেন।
মেয়র পদে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকে ফরহাদ হোসেন ধলু। বিএনপি’র শহিদুল ইসলাম ধানের শীষ। জাতীয় পার্টির আব্দুর রহমান লাঙ্গল। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রফিকুল ইসলাম হাতপাখা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেন ফাকু নারিকেল গাছ প্রতিক নিয়ে প্রতি বদ্ধতা করছেন।
জেলা রিটার্ণিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম রাকিব জানান,দ্বিতীয় দফা পৌরসভা নির্বাচনে  নাগেশ্বরীতে ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পর্যাপ্ত আইন-শৃংখলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। ভোটাররা যেন অবাধে এসে তাদের ভোট প্রদান করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছেও বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।