এনবি নিউজ একাত্তর ডেক্স: পরিক্ষা চলাকালিন সময় পরিক্ষা খাতা ছিঁড়ে ফেলার প্রতিবাদ করায়
ধারালো অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হত্যার উদ্দ্যেশে আলিম পরিক্ষার্থী আশিকুন্নবী (২১)কে এলোপাথারী কুপিয়ে জখম ও সুরমা নাহার (১৯)কে মারপিট ও শ্লীলতা হানীর অভিযোগে
গোবিন্দগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে,এঘটনায় পরিক্ষা চলাকালিন কেন্দ্রে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী প্রবেশ করে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ এবাদুর রহমানের অপসারন বিচারদাবী করা হয়েছে।
কেন্দ্র পুলিশ উপস্থিততে এঘটনা সন্ত্রাসীরা ঘটালেও সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার না করায় পরিক্ষার্থীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
থানার অভিযোগ ও পরিক্ষা কেন্দ্রর পরিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়,উপজেলা মহিমাগঞ্জ আলিয়া কামিল মাদ্রাসা পরিক্ষা কেন্দ্রে আলিম পরিক্ষা চলাকালিন বৃহস্পতিবার।
গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের ঘোষপাড়া, শামছুল আলম (রানুর) ছেলে গোলাপবাগ আলিম মাদ্রাসার ছাত্র আলিম পরিক্ষার্থী আশিকুন্নবী(২১)এর পরিক্ষা চলাকালিন খাতার লেখা দেখতে না দেওয়ায় একই কেন্দ্রের পরিক্ষার্থী মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে সাদেকুল ইসলাম (২২)জোর পূর্বক নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে।
খাতা ছেঁড়ায় আশিকুন্নবি ও সাদেকুলের সাথে কথা কাটি কাটি হলে সাদেকুল ক্ষিপ্ত হয়ে তার বন্ধু একই গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে সাগরসহ আরও তিন জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় দল তৈরী করে আশিকুন্নবীর উপর হামলা চালায় তার মাথায় ও পিঠে এলোপাথারী কোপাতে থাকে এতে তার স্ত্রী ও সুরমা নাহার (পরিক্ষার্থী) এগিয়ে এলে তাকেও মারপিট করে শ্লীলতাহানী ঘটায়, পরিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় সন্ত্রাসীরা স্থানীয় হওয়ায় তাদের কেন্দ্র সচিব ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ প্রবেশের সুযোগ দিয়ে এমন ঘটনার সুযোগ দেওয়ায় পরিক্ষার্থীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। সচেতন মহল দায়িত্ব অবহেলাও ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার দাবী করেছে।
কেন্দ্র সচিব এবাদুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বিকার করলেও দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এঘটনায় পরিক্ষার পর পরিক্ষার্থী থানায় এসে এজাহার দায়ের করে।
এঘটনায় ওসি মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।অপরাধী যেই হোক আইনের আওতায় আনা হবে।
এ ঘটনায় পরিক্ষার্থীরা ও আহত পরীক্ষার্থীর পরিবার সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেছেন।