উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ নড়াইলের লক্ষ্মীপাশা চৌরাস্তা এলাকার মর্ডান আবাসিক হোটেল থেকে ৫জন জুয়াড়িকে আটক করার পর ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়েছে। সাজা প্রাপ্ত জুয়াড়িদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার এসআই অনিল মুখার্জির নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে লক্ষ্মীপাশা চৌরাস্তা এলাকার আলোচিত মর্ডান আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৫ জন জুয়াড়িকে জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ আটক করে। পরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাখি ব্যানার্জি ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আটক জুয়াড়ি ঝিনাইদহ জেলার লোহাজংগা গ্রামের রমিজ উদ্দিনের ছেলে আবুল মিয়া (৪৬), মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার পুরাতন মোটমোড়া গ্রামের নজরুল মন্ডলের ছেলে সেন্টু মন্ডল (৩০), পাবনা জেলার চাটমোহর থানার চরএনায়েতপুর গ্রামের আদু প্রামাণিকের ছেলে জিয়া প্রামাণিক (৩৫), খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার নোয়াবাটি গ্রামের শুকুর সরদারের ছেলে রফিকুল সরদার (৬৫) কে ২০ দিনের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। একই অভিযোগে পাবনা জেলার সাথিয়া থানার মাতপুর গ্রামের সিরাজ ব্যাপারির ছেলে আব্দুস ছালাম (৫৬)কে ৭ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন। পরে জব্দকৃত জুয়া খেলার সরঞ্জাম পুড়িয়ে ফেলা হয়। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) অভিযান কালে নড়াইলের লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আলমগীর হোসেনসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপাশা চৌরাস্তার মর্ডান আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে জুয়া খেলা চলে আসছে। মাঝে মধ্যে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দু’একজন জুয়াড়িকে আটক করলেও ওই হোটেলে বন্ধ হয়নি জুয়া খেলা। অভিযোগ রয়েছে, ওই হোটেলের মালিক নূর ইসলাম শেখকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে কপোত-কপোতিরা হোটেলে রাত্রী যাপন করে থাকে। ইতিপূর্বে, ওই হোটেলের মালিক নূর ইসলাম জুয়া খেলার অপরাধে পুলিশের হাতে আটক হয়ে জামিনে বের হয়ে এসে পুনরায় হোটেলে জমজমাট জুয়া ও দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছে।