ঢাকাSaturday , 25 January 2020
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নড়াইলে সড়কে সরকারের নিষিদ্ধ ঘোষিত  আতঙ্কের আরেক নাম নছিমন-করিমন!!

Link Copied!

উজ্জ্বল রায় নড়াইল থেকেঃ নড়াইলে নছিমন ও করিমন নাম দু’টি কোন মানুষের নয়। নাম দু’টি নড়াইলের মানুষের কাছে এখন সড়কের আতঙ্ক হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। সরকারের নিষিদ্ধ ঘোষিত ওই দু’টি যানবাহন জেলার প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে গ্রামের আনাচে কানাচে মালামাল ও মানুষ বোঝাই করে হরহামেশাই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। উজ্জ্বল রায় নড়াইল থেকে জানান, স্থানীয় কারখানায় তৈরী ওইসব গাড়ির চালকদের বেপরোয়া গতির কারণে প্রায়ই তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এক কথায় অবৈধ ভাবে চলা নছিমন ও করিমনের বেপরোয়া দাপটে অস্থির হয়ে উঠেছে নড়াইল জেলার বাসিন্দারা। যানবাহনের চালক বা মালিকরা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই একাধিক নছিমন-করিমন তৈরীর কারখানা গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলার প্রধান সড়ক গুলোসহ তিনটি পৌর শহরে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দাপটের সঙ্গেই চলছে নিষিদ্ধ ঘোষিত নছিমন ও করিমন নামের ওইসব যানবাহন। শুধু যাত্রী বহন নয় ইট ও বালুসহ নানা ধরনের মালামাল বোঝাই করে অবাধে চলছে যানবাহন গুলো। যাতে করে জেলা এলাকার সড়ক গুলোতে দুর্ঘটনার পরিমাণও দিন দিন বেড়েই চরেছে। জেলাধীন বিভিন্ন সড়কে লেগেই রয়েছে দূর্ঘটনা। কিন্তু এগুলোর গতিরোধে এগিয়ে আসছেনা কেউ। ফলে ওইসব যানবাহন তৈরীর কারখানা গুলোতে প্রতিদিনই তৈরী হচ্ছে নতুন নতুন নছিমন ও করিমন।

নছিমন ও করিমন তৈরীর কারখানার মলিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শ্যালো মেশিন দিয়ে একটি নছিমন তৈরীতে প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও করিমন তৈরী করতে প্রায় ৭০ হাজার টাকা ব্যায় হয়ে থাকে। নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার কারণে সরকারে রেজিষ্ট্রেশন পাওয়া যায় না। আবার ওই সব গাড়ি চালানোর জন্য কোন প্রশিক্ষিত চালকের প্রয়োজন হয় না বলে তারা জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কারখানা মালিক বলেন, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তারা তৈরী করছেন নছিমন-করিমন। অবৈধ ওই যানবাহন সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিভাবে নির্বিঘ্নে উপজেলার প্রধান সড়কগুলোসহ অলি-গলিতে অবাধে বিচরণ করছে? স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দিষ্ট পরিমাণ মাসোহারা দিয়েই চলছে নছিমন ও করিমন।

এপ্রসঙ্গে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিমউদ্দিন বলেন, ‘ওইসব যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণই অবৈধ। সেগুলোকে বন্ধে অবশ্যই কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’ এ বিষয় কালিয়া উপজেলার ইউএনও মোঃ নাজমুল হুদা বলেন, ‘উপজেলার প্রধান সড়ক গুলোতে ওইসব নিষিদ্ধ ঘোষিত যানবাহন চলাচল বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।