ঢাকাSunday , 27 September 2020
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জয়পুরহাটে অপহরণ মামলার আসামীদের হুমকির হাত থেকে রক্ষা পেতে সাংবাদিক সম্মেলন

Link Copied!

পুলক সরকার, জয়পুরহাট প্রতিনিধি-
২৭ সেপ্টেম্বর/২০
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার নান্দাইল দিঘি মুরালী গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র মোঃ ছামিউল ইসলাম (১৮) কে জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় অপহরণ ও পরে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে শহরের জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে জানানো হয় ঈদুল আজহার দিন বিকালে একই এলাকার হাজীপুর গ্রামের  তামান্নার বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ানোর নামে তাকে ডেকে এনে একই নান্দাইল দিঘি মুরালী গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলামের নাবালিকা কন্যা মোছাঃ নুরিয়া (১২) এর সাথে বিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টায় ছামিউলকে আটকে রাখা হয়। বিয়েতে রাজি না হলে ঘটনা রাতেই ছামিউলকে পাশের আলমপুর ইউনিয়নের সুহলি গ্রামের একটি বাড়িতে একদিন আটকে রেখে পরের দিন বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার কুল গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আটকে রাখার পর ছামিউলের কাছ থেকে ২ টি সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করানো হয়। এদিকে অপহৃত ছামিউলকে ছেড়ে দিতে তার বড় ভাই শহিদুলের নিকট থেকে জেলার কালাই উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য, নুরিয়া (১২) এর ঘনিষ্ট আত্মীয়
ছানাউল গং ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপন আদায় করে। এর পর পরই ২ জন অপরিচিত লোক ছামিউলকে একই উপজেলার মোলামগাড়ী বাজারে ছেড়ে দিয়ে যায়। এই অপহরণ ঘটনায় ছামিউলের বড় ভাই শহিদুল জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন আদালতে ২৩ আগষ্ট/২০ একটি মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানিয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন ছামিউলের বড় ভাই শহিদুল। অভিযোগটি প্রসঙ্গে কালাই উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ছানাউল জানায় মোঃ ছামিউল (২১) ও মোছাঃ নুরিয়া (১৮) উভয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক এবং তারা স্ব-ইচ্ছায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। তাদের কোন অপহরণ করা হয়নি কিংবা কোন ফাঁকা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষরও নেওয়া হয়নি। অভিযোগের সবটাই মিথ্যা। কালাই থানার এস,আই মোঃ জোবায়ের ঘটনা প্রসঙ্গে জানান তিনি অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যান এবং সেখানে গিয়ে জানতে পারেন যে, ছামিউল ও নুরিয়া সেখানে দাওয়াত খেয়ে তখন তখনই চলে যায়। উভয়ের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এর পরে তিনি ছামিউল ছাড়া পাওয়ার ঘটনা জেনেছেন। ছামিউলের বড় ভাই শহিদুলের আদালতে মামলার করার কথা জেনেছেন। শহিদুল থেকে আরো জেনেছেন তাদের মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।