ঢাকাWednesday , 26 June 2019
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ৫০শয্যার জনবল নিয়ে চলছে ১০০শয্যার কার্যক্রম

Link Copied!

ঐশ্বর্য সাহা, জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি: ১৯৭০ সালে ৫০শয্যা নিয়ে শুরু হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কার্যক্রম। তখনকার সময় এ অঞ্চলে জনসংখ্যা কম থাকাই বেগ পেতে হয় নি হাসপাতালটির। তবে বর্তমান সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে জনসংখ্যা কিন্তু বৃদ্ধি পায় নি হাসপাতালের জনবল। শুরু থেকেই ৫০শয্যার জনবল নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে হাসপাতালটি। বাড়তি রোগীর সেবা দিতে ২০০৩ সালে হাসপাতালটি ৫০শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। তবে নিয়োগ দেওয়া হয় নি ডাক্তার নার্সসহ প্রয়োজনীয় জনবল। প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় চিকিৎসা দিতে ব্যার্থ হচ্ছে চিকিৎসকেরা।
এই সমস্যার সমাধানে চুয়াডাঙ্গা ১০০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে উন্নীতকরণের জন্য ১৫০ শয্যাবিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১০ সালের দিকে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০১৮ সালের অক্টোবরে চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় জনবল সঙ্কট নিয়েই নতুন ভবনসহ ২৫০ শয্যার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। আট বছর আগে নতুন ভবনের নির্মাণের কাজ শুরু হলেও স্বাস্থ্য বিভাগ ২৫০ শয্যার হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করতে পারিনি আজও।
বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চিকিৎসাসেবা ও পরিচ্ছন্নতার দিক দিয়ে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার সরকারি হাসপাতালের মধ্যে প্রথম এবং সারা দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে অর্জন করেছে তৃতীয় স্থান। যে কারণে হাসপাতালে প্রতিনিয়তই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। বহির্বিভাগে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা ৮ শ-এর অধিক এবং সার্বক্ষণিক হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩ শ-এর অধিক। ৫০ শয্যার ডাক্তার দিয়ে এত বেশি রোগীর সুচিকিৎসা প্রদান করতে ডাক্তাররা যেন হিমশিম খাচ্ছেন।
হাসপাতালে একাধিক রোগী ও তার স্বজনেরা জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। বেড না থাকায় হাসপাতালের মেঝে, সিড়ির কোণ ও টয়লেটের পাশে বিছানা পেতে থাকতে হচ্ছে রোগীদের। রোগীর ভিড়ে রোগীরাই যেন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। হাসপাতালের বারান্দাতেও গায়ের সঙ্গে গা ঘেষে থাকতে হচ্ছে তাদের। হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত নার্স, নেই রোগী সেবা দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত ডাক্তার। তাই রোগীরা পাচ্ছে না তাদের পরিপূর্ণ সেবা।
ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ পার্শ্ববর্তী মেহেরপুর ও ঝিনাইদহের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পেতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের প্রতি সবার আগ্রহ। কিন্তু আমাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জনবল, ডাক্তার ও শয্যা-সঙ্কটের কারণে উপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা মিলছে না। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল চালু হলে ও প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিলে ডাক্তার ও শয্যা-সঙ্কট থাকবে না। এ জন্য দ্রুত হাসপাতালটি চালু ও জনবল নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার দাবি জানান তাঁরা।’
হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স রোমানা সুলতানা ও তহমিনা খাতুন বলেন, ‘ওয়ার্ডে যত রোগী থাকার কথা, তার থেকে চার-পাঁচ গুণ রোগী বেশি থাকাই আমরা চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছি। ওয়ার্ডের মেঝেতেও রোগীতে পূর্ণ। এক রোগীকে সেবা দিয়ে অন্য রোগীর নিকট পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শামীম কবির বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গার জেলাবাসীর উন্নত চিকিৎসার একমাত্র ভরসা এই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল। প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৮ শ-এর বেশি রোগী চিকিৎসা নিতে আসে এবং ১৫০ থেকে ২০০ রোগী এ হাসপাতালে ভর্তি হয়। যার কারণে এ বিপুলসংখ্যক রোগীর চিকিৎসাসেবা প্রদান এবং জায়গা দেওয়া ১০০ শয্যার ভবনে আর সম্ভব হচ্ছে না। তা ছাড়া ৫০ শয্যার ডাক্তার দিয়ে এত বেশি রোগীর সুচিকিৎসা প্রদান করতে ডাক্তারদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চুয়াডাঙ্গা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করে জেলার মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এখনও ৫০ শয্যা হাসপাতাল হিসেবেই ব্যবহার করা হচ্ছে। ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল রূপে সেবা প্রদান করা হলেও এটি এখনও ১০০ শয্যায় উন্নীত হয়নি। চেষ্টা করছি, হয়তো অচিরেই ১০০ শয্যার অনুমতি পাব। ১০০ শয্যার অনুমতি না পেলে ২৫০ শয্যার অনুমতিও পাওয়া যাবে না।’

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।