ঢাকাTuesday , 2 April 2019
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ১৯ প্রার্থীর মধ্যে ১১ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার-গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ১৯ প্রার্থীর মধ্যে ১১ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১ জন ও  নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

মোট প্রাপ্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম ভোট পাওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী ১১ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয় বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান।

চেয়ারম্যান পদে ৪ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন, ওয়ার্কাস পার্টির প্রার্থী আব্দুল মতিন মোল্লা (হাতুড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ চৌধুরী (আনারস), নাজমুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) ও ফেরদৌস আলম রাজু (দোয়াত কলম)। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ছয়জন প্রার্থী। এ পদে প্রদত্ত বৈধ ভোট ছিল ২ লাখ ২ হাজার ২৬১।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে একজনের। তিনি হলেন মোফাচ্ছেরীন আলম সরকার পল্লব। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রদত্ত বৈধ ভোট ছিল ১ লাখ ৮৬ হাজার ১৮৫।

এছাড়া নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তারা হলেন, রোকেয়া বেগম, আসলামা বেগম, জেবুন্নেছা রমিজ, শায়লা পারভীন, আফরুজা খাতুন ও আকতারা বেগম। প্রদত্ত বৈধ ছিল ১ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৬। এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আট প্রার্থী।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় তিনটি পদে ১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা মোট প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টমাংশের নিচে ভোট কম পাওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী ১১ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। মনোনয়ন ফরমের সঙ্গে প্রত্যেক প্রার্থীকে সরকারি কোষাগারে ১০ হাজার টাকা করে জমা দিতে হয়েছে। কিন্তু জামানতের সেই টাকা ফেরত পাবেন না ১১ প্রার্থী।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল লতিফ প্রধান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নৌকা প্রতীকে তিনি ১ লাখ ৪১ হাজার ২৯৮ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী (স্বতন্ত্র) মুকিতুর রহমান রাফি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৬২৪ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে শরিফুল ইসলাম সরকার তাজু মাইক প্রতীকে  ৫৭ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী খন্দকার আব্দুর রহমান মাস্টার তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৫১ হাজার ৭৬০ ভোট।

এছাড়া নারী ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শাকিলা বেগম। ফুটবল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৯৪ হাজার ৪৩৬ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উম্মে জাহান রিংকু প্রজাপতি প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৩৫৩ ভোট।

১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লাখ ৮৬ হাজার ২৯৬ জন। ১৩৯টি ভোট কেন্দ্রের ৯৩০টি কক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট প্রদত্ত ভোটের হার ছিল ৫৩.৪৩%।

প্রসঙ্গত : দ্বিতীয় দফায় গত ১৮ মার্চ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চেয়ারম্যান পদে এক প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হলে প্রার্থিতা ফিরে পেতে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন তিনি।  শুনানি শেষে তার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয়  উচ্চ আদালত। এ কারণে নির্বাচন স্থগিত করে ৩১ মার্চ ভোট গ্রহণের তারিখ পুনর্নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

 

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।