সুবল দাস,গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : নববর্ষকে স্বাগত জানাতে প্রতিবারের ন্যায় এবারও
কোটালীপাড়ার লাটেঙ্গা গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়-দৌড় ও
গ্রামীণ মেলা। বৈশাখের প্রথম মঙ্গল ও বুধবার লাটেঙ্গা গ্রামের বিশাল
চারণভূমিতে আয়োজন করা হয় দু’দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান। এলাকার সন্তান
আওয়ামীলীগ নেতা ও কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ
বিশ্বাসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এলাকার সাধারণ মানুষ গত ১৮ বছর ধরে
জাগ্রত করে রেখেছেন এ ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ সংস্কৃতিকে। মেলাকে মধ্যখানে
রেখে চারিদিকে তৈরী করা হয় ঘোড়-দৌড়ের পথ। বিভিন্ন জেলা থেকে ঘোড়সাওয়াররা
এসে অংশ নেন ঘোড়-দৌড় প্রতিযোগিতায়। বিজয়ীদেরকে পুরস্কৃত করা হয় আকর্ষণীয়
পুরস্কারে। তাই লাটেঙ্গা গ্রামের এই ঘোড়-দৌড় কোটালীপাড়ার প্রাচীণ
সংস্কৃতিতে অতি পরিচিত। এবারেও এ অনুষ্ঠানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে লাখো
মানুষের সমাগম ঘটে।
আয়োজনের শেষদিনে বুধবার বিকেলে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় ঘোড়-দৌড় প্রতিযোগিতার
মূল পর্ব। বিমল কৃঞ্চ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মূল পর্বের উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কোটালীপাড়া পৌরসভার নব-নির্বাচিত
চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন শেখ, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা
ভাইস-চেয়ারম্যান লক্ষ্মী রাণী সরকার, সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান আমিনুজ্জামান
খান মিলন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক কিবরিয়া দাড়িয়া ও
সাংগঠনিক সম্পাদক আয়নাল হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে এ্যাডভোকেট বীজন
বিশ্বাস, ডাঃ সঞ্জয় বাড়ৈ, প্রমূখ সেখানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস সকলকে বৈশাখী
শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং সকলের শুভ কামনা করেন। পরে অতিথিবৃন্দ
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
সাতক্ষীরা, খুলনা, নড়াইল, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জসহ আশপাশ এলাকা থেকে
অন্ত:ত ২০ টি ঘোড়া অংশ নেয় এ ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায়। প্রতিযোগিতায় প্রথম
স্থান অধিকার করে যশোরের কামরুল ইসলামের ঘোড়া, যিনি পুরস্কার পান ২১
ইঞ্চি একটি রঙিন টেলিভিশন। দ্বিতীয় স্থান পান নড়াইলের বেল্লাল হোসেন,
যিনিও পান একটি ২১ ইঞ্চি একটি রঙিন টেলিভিশন এবং তৃতীয় স্থানে ছিলেন
যশোরের আতিয়ার রহমনা, যিনি পান ১৭ ইঞ্চি একটি রঙ্গিন টেলিভিশন। এছাড়াও
ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক ঘোড়সাওয়ারের হাতে সান্ত¦না
পুরস্কারসহ ২ হাজার করে নগদ টাকা উপহার দেয়া হয়।