ঢাকাTuesday , 15 May 2018
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খুলনা সিটি নির্বাচন: ৪৩ কেন্দ্রে নৌকা- ২১৮৮৯, ধানের শীষ- ১২৪১৬

Link Copied!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট: খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪৩টি কেন্দ্রের ফলে এগিয়ে রয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক।

নিজস্ব সূত্র থেকে সর্বশেষ পাওয়া ৪৩টি কেন্দ্রের ফলে খালেক পেয়েছেন ২১ হাজার ৮৮৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছেন ১২ হাজার ৪১৬ ভোট।

মঙ্গলবার (১৫ মে) সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে ভোট গণনা। সোনাডাঙ্গায় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী তথ্য/ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে খুলনা সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী কেন্দ্রভিত্তিক ফল ঘোষণা করছেন।

মঙ্গলবার (১৫ মে) সকাল ৮টায় ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ৫৬১টি ভোটকক্ষে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নগরীর মেয়রসহ ৩১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নির্বাচন করলেন খুলনাবাসী।

সকাল থেকে মোটামুটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট চললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যেতে শুরু করে পরিবেশ। নগরীর অন্তত শ’ খানেক কেন্দ্র দখলে নিয়ে সরকার দলীয় মেয়র প্রার্থীর লোকজন ইচ্ছেমতো ব্যালট পেপারে সিল মেরেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোথাও কোথাও কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যেও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এর আগে, জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় খুলনার ইকবাল নগর সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে লবণছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাজি মালেক দারুলসুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণও স্থগিত করা হয়।

প্রিজাইডিং কর্মকর্তা খোরশেদ লুৎফর বলেন, ‘ওই কেন্দ্রে কয়েকজন যুবক ঢুকে তারা ব্যালট পেপারে সিল মারার চেষ্টা করেন। এর সত্যতা পাওয়ায় আপাতত ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।’ এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২১২৪ জন।

মঙ্গলবার সকাল ৮টটায় সাতটি বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। দুপুরের দিকে কয়েকজন যুবক এসে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে। সে সময়ে কেন্দ্রে বিএনপির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের কোনো এজেন্টকে পাওয়া যায়নি।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ২৩৪টি কেন্দ্রকে ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। মূলত সেসব ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্রেই ভোট ডাকাতির খবর আসতে থাকে দুপুরের পর থেকে।

নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিলিয়ে মোট ১৯১ জন প্রার্থী নির্বাচনের চূড়ান্ত লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন। মেয়র পদে পাঁচ জন, ১৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন কাউন্সিলর এবং চারটি সংরক্ষিত আসনে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মেয়র পদে যে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন- আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির এস, এম শফিকুর রহমান (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মুজ্জাম্মিল হক (হাত পাখা) এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি’র মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে)।

খুলনা সিটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ ও নারী ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন। ভোটকেন্দ্র ১ হাজার ১৭৮টি। প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার রয়েছে ৪ হাজার ৯৭২ জন।

গত ৩১ মার্চ খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ১২ এপ্রিল। পরে ১৫ ও ১৬ এপ্রিল চলে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ। ২৩ এপ্রিল ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এরপর ২৪ এপ্রিল ইসি প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দিলে শুরু হয় নির্বাচনি প্রচারণা।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।