ঢাকাTuesday , 9 July 2019
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খাগড়াছড়িতে গত দশ বছরের ব্যবধানে বিশুদ্ধ পানির উৎস বেড়েছে দ্বিগুন

Link Copied!

মো: মনির হোসেন, খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা: খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গত দশ বছরের ব্যবধানে বিশুদ্ধ পানির উৎস বেড়েছে দ্বিগুণ।

একসময় পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়িতে বিশুদ্ধ পানির সংকট ছিলো তীব্র। যার কারণে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর শতাধিক মানুষ মারা যেতো এ জেলায়। তবে আগেকার সেই পরিস্থিতি এখন আর নেই। গত দশ বছরের ব্যবধানে বিশুদ্ধ পানির উৎস বেড়ে দ্বিগুন হয়েছে। কমেছে বিশুদ্ধ পানির সংকট এবং পানিবাহিত রোগে মৃতের সংখ্যাও।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ২০০৯ সালে খাগড়াছড়ি জেলার মোট জনসংখ্যার মাত্র ২৮.৫৭ শতাংশ বিশুদ্ধ পানির আওতায় ছিলো। বর্তমানে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭.৫৭ শতাংশে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এ জেলায় বর্তমানে চালু পানির উৎস রয়েছে ১১ হাজার ৭’শ ৮৩টি, যা ২০০৯ সালে ছিলো ৬৩৮১টি।

গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩১ কোটি ৬১ লাখ ১০ হাজার টাকার ‘খাগড়াছড়ি জেলার গুরুত্বপূর্ণ বাজারসহ পার্শ্ববর্তী জনবসতিতে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন’ প্রকল্প হাতে নেয় খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। ওই প্রকল্পের অনুকূলে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৬৬ হাট-বাজারে স্ট্রিট হাইড্রেন্ট স্থাপন করে। এতে পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য খাওয়ার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া বাজার পার্শ্ববর্তী আবাসিক এলাকাগুলোতেও ওই প্রকল্পের আওতায় স্থাপন করা হয় গভীর নলকূপ।

এছাড়াও খাগড়াছড়ি জেলায় ২৩৪টি বিদ্যালয়ে বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। নির্মাণ করা হয়েছে ১০৬টি ওয়াশ ব্লক।

খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘চলতি বছরের জুন মাসে প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যে ৪২টি বাজারে স্থাপিত স্ট্রিট হাইড্রেন্ট সংশ্লিষ্ট বাজার পরিচালনা কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকীগুলোও হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’

মহালছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রতন শীল বলেন, ‘একসময় এই উপজেলায় বিশুদ্ধ পানির সংকট ছিলো অনেক বেশী। স্থানীয় ছড়া ও কুয়ার পানি পান করতো এখানকার বাসিন্দারা। ফলে পানিবাহিত রোগের প্রভাব ছিলো। বিশেষ করে বহু শিশু মারা যেতো। তবে বর্তমান সরকারের এই দুই মেয়াদে তাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বলতে গেলে আমার নির্বাচনী এলাকায় এখন বিশুদ্ধ পানীয় জলের কোন সংকট নেই।’
মাটিরাঙ্গা উপজেলার ০২ নং তবলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃআব্দুল কাদের বলেন,
মাটিরাঙ্গা উপজেলায় তবলছড়ি ইউনিয়ে বিশুদ্ধ পানির অনেক উন্নয়ন হলেও অনেক এলাকায় পাথর হওয়ার কারণে নলকূপ বসানো সম্ভব হচ্ছে না।যার কারণে ভোগান্তি হচ্ছে অনেক মানুষের।

খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সোহরাব হোসেন বলেন, ‘জেলার গুরুত্বপূর্ণ ৬৫টি বাজারসহ পার্শ্ববর্তী জনবসতিতে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন করে আরও একটি প্রকল্প গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। প্রকল্পটি বর্তমানে পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।’
এবং যে সকল এলাকায় পাথর হওয়ার কারণে নলকূপ বসানো সম্ভব হচ্ছে না। যেসব এলাকায় পানি পাওয়া যাচ্ছে না সেসব এলাকায় পানি পাওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা কি করা যায় তা ভেবে দেখা হচ্ছে।

অন্যদিকে বর্তমানে খাগড়াছড়ি জেলার স্যানিটেশন কাভারেজ মোট জনসংখ্যার ৭৯.১২ শতাংশ। সাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ১ লাখ ২ হাজার ১টি। তবে শতভাগ কভারেজের জন্য খাগড়াছড়িতে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭’শ ১২টি স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন প্রয়োজন।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।