রুহুল আমিন রুকু কুড়িগ্রাম থেকে: কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের অবহেলায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ সময় নিহতের স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ঘটনাটি ঘটেছে, শনিবার (২৯ জুন) বেলা তিনটার দিকে।
জানা গেছে, পৌরসভার নারিকেলবাড়ী ব্যাপারীপাড়া গ্রামের আখতার আলীর পুত্র আব্দুর রহিম (৪৫) শনিবার দুপুরে বুকে ও মাথায় ব্যাথা অনুভব করলে স্বজনরা তাকে উলিপুর ডিজিটাল ল্যাব এন্ড কনসালটেশন সেন্টারে নিয়ে এলে সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিলে জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আনোয়ারুল ইসলাম আব্দুর রহিমকে হাসপাতালে ভর্তি করান এবং তাকে চিকিৎসা দেন। কিছু সময়পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা তিনটার দিকে তার মৃত্যু হয়। তবে স্বজনদের অভিযোগ চিকিৎসকের অবহেলার কারনে তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের ছেলে সুমন মিয়া (২২) দাবী করেন, হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর কতর্ব্যরত ডাক্তার না থাকার কারনে সঠিক সময়ে চিকিৎসা দিতে না পারায় তার বাবার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে নিহতের স্বজনরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত নার্স ও ডাক্তারকে লাঞ্চিত করে হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে বিকালে স্বজনরা নিহতের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফকরুল আলম চিকিৎসায় অবহেলার বিষয়টি সঠিক নয় দাবী করে তিনি বলেন, সম্ভবত হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি নিজে উপস্থিত থেকে চিকিৎসা বাবদ প্রয়োজনীয় যা কিছু করা দরকার সব চেষ্টাই করা হয়েছে। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র সরকার জানান, আমাদের পক্ষ থেকে কোন অবেহলা করা হয়নি। রোগীকে বাঁচানোর সব ধরনের চেষ্টা আমরা করেছি।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে উত্তেজনা বিরাজ করার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।