ঢাকাMonday , 3 June 2019
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ৮শ ৪০ বস্তা সরকারি চাল আটক করেছে থানা পুলিশ

Link Copied!

রুহুল আমিন রুকু কুড়িগ্রামঃ

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ৮শ ৪০ বস্তা সরকারি চাল আটক করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায়
৩জনকে আটক করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে, রোববার (০২ জুন) দুপুরে কুড়িগ্রাম-চিলমারী
সড়কের উলিপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পেট্রলপাম্প এলাকায়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি
চলছে।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে উলিপুর পৌরশহরে যানজট নিরশনের
লক্ষ্যে থানার অফিসার ইনচার্জ ও ওসি তদন্তের নেতৃত্বে পুলিশ বিশেষ টহল দিচ্ছিলো। এ সময়
ট্রাক ও ট্রলি বোঝাই দুটি গাড়ি উলিপুর সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে ৮শ ৪০ বস্তা চাল নিয়ে
কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পুলিশের টহলরত টিমের সন্দেহ হলে গাড়ি দুটিকে
কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কের উলিপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পেট্রলপাম্প এলাকায় আটক করেন।

এ সময় ট্রাক ও ট্রলির ড্রাইভার-হেলপার পুলিশকে জানায়, ঈদ উপলক্ষ্যে ভিজিএফএর চাল দূগাপুর
ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যাচ্ছেন। গাড়ি ভর্তি চাল সরকারি গুদাম থেকে বের হওয়ার কাগজপত্র
পুলিশ দেখতে চাইলে তারা দেখাতে ব্যর্থ হন। এবং তাদের আচরনে সন্দেহ হলে পুলিশ তাদের
আটক করে চাল বোঝাই গাড়ি দুটি থানায় নিয়ে আসেন। আটককৃতরা হলেন,
কুড়িগ্রাম সদর থানার প্রতাপ কাঁঠালবাড়ী গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পুত্র নজরুল ইসলাম
(৩৫), বানচার ভিটাগ্রামের তমিজ উদ্দিনের পুত্র আব্দুস সালাম (৫৫) ও উলিপুর থানার
দূর্গাপুর বাজারের মোজাফফর হোসেনের পুত্র সাহাদৎ হোসেন সুমন (২২)।

উলিপুর সরকারি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোয়ারুল ইসলাম জানান, চাল বোঝাই
গাড়ি দুটির মধ্যে ট্রাক ও ট্রলি ছিলো। এর মধ্যে ট্রাকের চালগুলো উলিপুর খাদ্য গুদাম থেকে
কুড়িগ্রাম সরকারি গুদামে প্রোগ্রামের আওতায় যাচ্ছিলো। ট্রলির চাল গুলো ধরনীবাড়ি
ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিএফের ছিলো। পুলিশ গাড়ি দুটি আটক করে থানায় নেয়।
প্রোগ্রামের ঠিকাদারসহ থানায় গিয়ে ইনভয়েস (চালান) দেখানো হলেও পুলিশ চালের
গাড়ি গুলো ছাড়ছেন না। গাড়িতে চাল প্রেরনের কাগজপত্র ছিলো না কেনো জানতে চাইলে
তিনি বলেন, ১শ ৩৫ টনের প্রোগ্রাম হয়েছে। ইনভয়েস গুলো ঠিকাদাররা শেষে নিয়ে যান,
সে কারনে গাড়িতে কাগজপত্র ছিলো না।

থানার অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, সরকারি গুদাম থেকে চাল বের হলেই গেট
পাশসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকার কথা। ভিজিএফএর চাল হলে ইউনিয়ন পরিষদের
প্রতিনিধি গাড়ির সাথে থাকার কথা কিন্তু কোনটি ছিলো না। গাড়ি দুটি আটক করার
সময় তারা কোন কাগজ দেখাতে পারেনি। অসৎ উদ্দেশ্য ছিলো বলেই গাড়ি দুটিতে কাগজপত্র
বা প্রতিনিধি ছিলো না। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাদের জানান, চাল আটকের ঘটনা শুনে খাদ্য বিভাগের
উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য
বলেছি। এছাড়া ধরনীবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন,
ট্রলির চাল গুলো ভিজিএফএর ছিল। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে
বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।