জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে ৬৩৬ জন কৃষকের বিপরীতে ৩১৮ মেট্রিক ধান ক্রয়ের জন্য লটারি করা হয়। এরপর ২য় পর্যায়ে সোমবার ৩১৯ মেট্রিকটন ধানের বিপরীতে ৬৩৮ জন কৃষককের নাম লটারীরর মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত কৃষকের তালিকা প্রকাশের পূর্বেই গোপনে একটি সিডিকেটের কাছে তালিকা সরবরাহ করার অভিযোগ উঠে খাদ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ফজলুল হক কর্মরত অবস্থায় তাকে অবরুদ্ধ করে দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। প্রায় ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর বিকেল ৩ টার দিকে খাদ্য পরিদর্শক ফজলুল হক কে মুক্ত করা হয়।
চলতি বোরো মৌসুমে মাঠ পর্যায়ে কৃষকের কাছ থেকে ৬৩৭ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের জন্য লটারীর মাধ্যমে তালিকা তৈরি করা হয়। লটারিতে নির্বাচিত কৃষক জনপ্রতি ৫০০ কেজি ধানের বরাদ্দ পান। এবারে বোরোর বাম্পার ফলন হওয়ায় ৫০০ কেজি ধানের বরাদ্ধ নিয়ে কৃষদের অনাগ্রহের সুযোগে কয়েকটি সিন্ডিকেট মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা দিয়ে তাদের কৃষি কার্ড ও আইডি কার্ড সংগ্রহ করেন।
একটি সূত্র জানায়, ২য় দফায় লটারীর মাধ্যমে নির্বাচিত কৃষকের তালিকা প্রকাশ না করলেও একটি সিন্ডিকেটের কাছে তা প্রকাশ করায় বঞ্চিত সিন্ডিকেটটি বিক্ষুব্ধ হয়ে সোমবার দুপুরে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে খাদ্য পরিদর্শকের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ফজলুল হক বলেন, তালিকা তৈরি করেন, খাদ্য নিয়ন্ত্রক, এখানে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুস সালাম বলেন,বিক্ষুব্ধরা তালা লাগানোর পর আবার খুলে দিয়েছে। তবে তারা কৃষক কিনা তাদের আমি চিনি না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ধান সংগ্রহ কমিটির সভাপতি মোঃ আবদুল কাদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে জানানো হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু বলেন,ঘটনাটি শুনে ওই অফিসে গিয়ে তালা খুলে দেয়া হয়েছে