ঢাকাMonday , 8 July 2019
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কালিয়াকৈরে টাকা না পেয়ে ভাংচুর, এক নারীকে লাঞ্চিত, টাকা লুটের অভিযোগ

Link Copied!

মো: আফসার খাঁন বিপুল,কালিয়াকৈর থেকে: গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চাহিদা অনুযায়ী টাকা না পেয়ে সোমবার সকালে পুরোনো ঘর ও দোকান ভাংচুর করেছে বনবিভাগের লোকজন। এসময় এক নারীকে লাঞ্চিত করে তার দোকান থেকে টাকাসহ ক্যাশবাক্স লুট করেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর রেঞ্জ অফিসের আওতায় চন্দ্রা বিট অফিসের গোয়ালবাথান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার শাহাজুদ্দিনের ছেলে সবদুল মিয়া দীর্ঘদিন বনবিভাগের ৫ সতাংশ জমিতে বসবাস করে আসছে। তার থাকার ঘরের এক পাশে একটি দোকান রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিনের পুরোনো ওই ঘরের টিন নষ্ট হয়ে ঘরে বৃষ্টির পানি ঢুকে পড়ে। এ কারণে সম্প্রতি ওই ঘরের টিন পরিবর্তন করে সবদুল মিয়া। খবর পেয়ে গত ১০-১২ দিন আগে চন্দ্রা বিট অফিসের ৫ থেকে ৬ জন লোক সেখানে যায়। পরে তারা সবদুলের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। এ সময় সবদুল তাদের ৭ হাজার টাকা দেয় এবং বাকী টাকা পরে দিবে বলে জানালে তারা চলে যায়। কিন্তু সোমবার সকালে ওই চন্দ্রা বিট অফিসের কর্মকর্তা মঞ্জুরুল করিম তার লোকজন নিয়ে সবদুলের ঘরে যান। পরে ওই পুরোনো ঘর ও দোকান ভাংচুর করে। এ সময় সবদুলের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম নিষেধ করতে গেলে তাকে গাড় ধরে ঘর থেকে বের করে দেয় বনবিভাগের লোকজন। এছাড়া তারা টাকাসহ দোকানের ক্যাশ বাক্স লুট করে নিয়েছে বলেও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। পরে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও বিক্ষুব্দ লোকজন কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমানের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। এ সময় উপস্থিত জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, কিছু দিন আগে ওই এলাকার আলমাছ মিয়া ঘর তৈরির সময় এক কাঠ মিস্ত্রিকে ধরে নিয়ে যায় বনবিভাগের লোকজন। পরে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে ছাড়ানো হয়। একই ভাবে স্থানীয় তুষারের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এরমধ্যে ১০ হাজার টাকা বনবিভাগের লোকজনকে দেওয়া হয়েছে। শুরু ওই তিনজনের নয় এমন অভিযোগ স্থানীয় সকলের।

ক্ষতিগ্রস্থ সবদুল মিয়া বলেন, ঘরের টিন নষ্ট হলে তা পরিবর্তন করেছি। খবর পেয়ে বনবিভাগের লোকজন এসে ৫০ হাজার টাকা দাবি করলে তাদের ৭ হাজার টাকা দেওয়া হয়। বাকী টাকা না পেয়ে বনবিভাগের লোকজন এসে ঘর ও দোকান ভাংচুর করে। এক পর্যায় আমার স্ত্রী মনোয়ারাকে লাঞ্চিত করে। এছাড়া ব্যাংক থেকে এক লাখ টাকা তোলে ৪২ হাজার টাকার টিন কিনেছি। বাকী টাকা দোকানের ক্যাশ বাক্সে ছিল। ঘর ও দোকান ভাংচুরের সময় ওই টাকাসহ ক্যাশ বাক্স লুট করে নিয়ে গেছে।

চন্দ্রা বিট অফিসের বিট কর্মকর্তা মঞ্জুরুল করিম জানান, বনের জমিতে ঘর উঠালে তা আমরা ভেঙ্গে দিয়েছি। ওই ঘর বাবদ টাকা-পয়সা চাওয়ার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে নারীকে লাঞ্চিত ও ক্যাশ বাক্স লুট করার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।