ঢাকাMonday , 18 November 2019
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কার্তিকমাসে গুরুর্তপুর্ণ কার্তিক পূজো কি??

Link Copied!

উজ্জ্বল রায় বিশেষ প্রতিবেদকঃ কার্তিক মাসের গুরুর্তপুর্ণ কার্তিক পূজো কি? দ্বাদশ মাসের মধ্যে কার্তিকমাস ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অতিবপ্রিয়। সর্বদা বৈষ্ণবগনের প্রিয় কার্তিকমাস শ্রেষ্ঠ। কার্তিকের সমান মাস নেই,সত্যযুগের সমান যুগ নেই,বেদের সমান শাস্ত্র নাই,গঙ্গার মত তীর্থ নাই। মাস সকলের মধ্যে কার্তিকমাস উওম শ্রেষ্ঠ। পুন্যগনের মধ্যে পরম পুন্য,পবিত্রকারিগনের মধ্যে পরম পবিত্র। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, ভগবান স্বয়ং বলেছেন কার্তিক মাসের অধিষ্ঠাতৃদেব শ্রীরাধিকার সাথে শ্রীদামোদর আমি প্রপন্ন হই। যাঁর প্রভাবে তাঁর প্রিয়তম কার্তিকমাস যথাযথা ভাবে সেবিত হবেন। মহান পবিত্র কার্তিকমাসে যে সকল ধর্মের অনুষ্ঠান করাহয় তা অক্ষয় হয়ে থাকে,আবার পাপকর্মগুলি ও অক্ষয় হয়ে থাকে। কার্তিকমাসের গুরুর্তপূর্ণ মাহাত্ম্যকথাঃ-যে মানুষ কার্তিকমাসে প্রাতঃস্নান করে শ্রী ভগবানকে মঙ্গলারতি করেন তার পূর্ব্বপুরুষ সহ শ্রীভগবানের শ্রীধাম প্রাপ্তি হয়।(স্কন্দপুরান) যে মানুষ কার্তিক মাসে ভগবান শ্রীবিষ্ণুকে অর্চনা করেন,তার কখনও যমপুরী দর্শন হয় না। (স্কন্দপুরান) শ্রীভগবান নারদমুনিকে বলেছেন…হে নারদ! কার্তিকমাসে যে ব্যক্তি আমার প্রিতীর উদ্দেশ্যে যে সকল কর্ম করবেন,তার ঋন শোধ করার জন্য আমি ভগবান বিচলিত থাকি। যে ব্যক্তি কার্তিকমাসে শ্রীভগবানকে অন্নব্যঞ্জনাদি ভক্তিভরে ভোগরাগ দিয়ে ব্রাহ্মন, বৈষ্ণব, ভক্তদের সেবা করান,তার পূর্বের যত পাপআছে আমি তৎক্ষনাত তা বিনষ্ট করি। যে ব্যক্তি কার্তিকমাসে মন্দির মার্জন,আলপনা করেন,সজ্জিত করেন মন্দির তিনি স্বর্গাস্হিতা হয়ে কপোতীর ন্যায় শোভিতা হন।(স্কন্দপুরান) কার্তিকমাসে যে ব্যক্তি তিলদান,নদীতে স্নান,সৎকথা শ্রবন,পলাশপত্রে ভোজন করেন তার সংসারে মুক্তিপ্রদ হয়ে থাকে।(স্কন্দপুরান) যে ব্যক্তি এই কার্তিকমাসে শ্রীমদ্ভগবদগীতা ও শ্রীমদ্ভাগবতম্ অধ্যয়ন করেন,এবং শ্রবন করান ভগবানকে,সবাই কে তার অক্ষয়প্রাপ্তি হয়ে ভগবানের শ্রীধামে উপনিত হয়।(স্কন্দপুরান) যে মানব কার্তিক মাসে অতিভক্তি ভরে শ্রীভগবানের মন্দির প্রদক্ষিন করেন, তার তীর্থযাত্রার দরকার নেই,তার শত শত অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল লাভ হয়।(স্কন্দপুরান) যে ব্যক্তি কার্তিকমাসে কর্পূর সহ,অগুরু,চন্দন কুমকুম ধূপ,শ্রীগোপালের অগ্রে দান করেন বা লেপন করে অন্কিত করেন তার যুগান্তে পুনজর্ন্ম হয় না। (স্কন্দপুরান) যে ব্যক্তি কার্তিকমাসে হরিকথা কীর্তন করেন,স্তবপাঠ করেন,তিনি শতকুল উদ্ধার করেন।(স্কন্দপুরান) যে ব্যক্তি কার্তিকমাসে হরিকথা শ্রবন করেন তার শতকোটি জন্মের আপদসমূহ থেকে নিস্তার পান।(স্কন্দপুরান) কার্তিকে দীপদান মাহাত্ম্যকথাঃ-স্কন্দ-পুরানে, পদ্মপুরানে,নারদীয় পুরানে বলাহয়েছে হে বিপ্রেন্দ্র! কার্তিকে কেশবপ্রিয় দীপদানের মাহাতœ্যকথা শ্রবন কর, দীপদান দ্বারা পৃথিবীতে আর পুনর্জন্ম হয় না। শতবর্ষ তীর্থযাত্রা,তীর্থে স্নান করে যে ফল লাভ হয়,কার্তিকমাসে শ্রী ভগবানকে তীলের তৈল অথবা ঘৃতপ্রদীপ,অথবা কপূর্র প্রদীপ দানে সেই ফল লাভ হয়। কোন ব্যক্তির যদি কোন জন্মে পূর্ন্য কর্ম না থাকে,অথবা এই জন্মেও তার যদি সৎ কর্ম না থাকে, সে যদিও ভূলবশত ভগবানের অগ্রে প্রদীপ দীপ দান করেন,তার বৈকুন্ঠলোকে গমন হয়। য ব্যক্তি কার্তিকমাসে মন্দিরের চূড়ায়,আকাশ প্রদীপ,তুলসীবৃক্ষের অগ্রে,মন্দির অগ্রে দীপদান করেন,শত্রুগন তাহার কোনো ক্ষতি করিতে পারেনা।(আকাশ প্রদীপ দান মন্ত্রঃ–ওঁ দামোদরায় নভসি তুলায়াং লোলয়া সহ।প্রদীপন্তে প্রযচ্ছামি নমোহনন্তায় বেধসে। যিনি কার্তিকমাসের একাদশী ও দ্বাদশীতে শ্রীভগবানকে ঘৃত,কূপূর্র, তীলের তেল প্রদীপ দেখাবেন বা প্রজ্জ্বলন করবেন,তার বংশে যারা জন্মেছে,যারা জন্মাবে আর যারা বহু অতীতে জন্মগ্রহন করেছে যাদের সংখ্যা গননা নাই তারাও চক্রপাণি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের করুনায় ইচ্ছামত সুদীর্ঘকাল ক্রীড়া করে সকলে মুক্তিলাভ করবে,এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই। বিঃদ্রঃ-এই কার্তিকমাসের মাহাতেœ্যর কথা কিছু লেখা হলো,এবং আরোও লেখা হবে এই মাসে] ভূল-ত্রুটি হলে সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে বিবেচনা করবেন,কারন আমি নিতান্তই মূর্খ অধম। আমার সৎগুনের জ্ঞান বলতে কিছু নেই।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।