ঢাকাFriday , 6 April 2018
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কমলনগরে ইউনিয়ন আছে ওয়ার্ড নাই: বরাদ্ধ যায় কোথায়

Link Copied!

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার ০২ নং চর সাহেবের হাট ইউনিয়নটি পুরোপুরি নদী গর্বে বিলিন হওয়ার পথে পা রেখেছে বললেই চলে।০৯ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ইউনিয়নটির ০৬টি ওয়ার্ড পুুরোপুরি নদী গর্বে বিলিন হয়ে গিয়েছে কয়েক বছর আগেই।কিন্তু সরকারি হিসাব মতে নয়টি ওয়ার্ডের বরাদ্দই চালু রয়েছে এ পর্যন্ত,নদী
গর্বে বিলিন হওয়া ০৬টি ওয়ার্ডের মানুষগুলো জীবনের তাগিদে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ নোয়াখালী সদর, লক্ষ্মীপুরের ভবানীগন্জ এমনকি পাশবর্তী ভোলায় অবস্থান করছে।তা সত্যেও ঐ সকল ওয়ার্ডগুলো এখনো সচল রয়েছে দেখিয়ে এবং দুরে চলে য়াওয়া মানুষ গুলোর নামে বরাদ্দ এনে নাম মাত্রিক বন্টন শেষে বাকিটা নিজেই গিলে খাচ্ছেন চেয়ারম্যান আবুল খায়ের।সাম্প্রতিক জেলে কার্ডধারী ১৪৭৮জন জেলেকে ০৪ দফায় ৪০ কেজি করে চাউল বিতরনের স্বীদ্ধান্ত গ্রহন করে সরকার,যা সম্পূর্ন বিনা মুল্যে বিতরন করার আইন থাকলেও অবৈধ অর্থ লোপাটকারী চেয়ারম্যান আবুল খায়ের তার পোষ্যকৃত দালালদের দিয়ে প্রতিটি কার্ড বিক্রি করান ১৮০০শত থেকে ২০০০টাকা পর্যন্ত।নিজে আড়াল থাকলেও তা প্রকাশ হতে সময় লাগেনি,ইউনিয়নে ৬হাজার নিবন্ধীত জেলে থাকলেও ১৪৭৮জনকে সনাক্ত করে উপজেলা মৎস্য ভিবাগ।এর বাহিরে থাকা জেলেদের থেকে আদায়কৃত টাকা ফেরৎ না দিয়ে শুধু মাত্র কার্ড ফেরৎ দেয়ায় বিষয়টি গোপনীয়তার রেশকেটে ওপেনে চলে আসে।উঠে আসে জেলে নয় এমন বহু প্রতিষ্ঠিত প্রভাবশালী পরিবারের কয়েক সদস্য বিদেশে আছে তাদেরকে জেলে বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে জেলেদের চাউল।অত্যান্ত দুঃখ প্রকাশ করে কেউ কেউ আবার বলছেন,প্রকৃত জেলেরা ভাত খাইতে পায়না আর বড়লোকরা চাউল নিয়ে কবুতর হাস মরগীকে খাওয়ায়।এ যেন চরম ক্ষোভ সরকারের প্রতি তাদের।অপর দিকে ১৪৭৮টি কার্ডে দলীয় কোটা বিহীন বাকি ০১হাজার কার্ড গড়ে ১৫০০শত টাকা করে
বিক্রি করে প্রায় ১৫লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সেবক নামক শোষক এই চেয়ারম্যান আবুল খায়ের।এসব বিষয়ে সংশিলিষ্ট দপ্তরের দায়ীত্ব প্রাপ্তদের প্রতি জনগনের চরম ক্ষোভ বিরাজ করাসহ প্রশ্ন হচ্ছে,ইউনিয়নটির ৯টি ওয়ার্ডের ০৬ টি নেই ০৩টি আছে তাও আংশিক, কিন্তু আংশিক থাকা ০৩টি ওয়ার্ডে ১৪৭৮টি জেলে কার্ড ব্যাপারটি হাস্যকর!! বাস্তব জেলেরা চাউল পাওয়ার আওতায় না আসায়,সন্তান,সংসার,এমনকি জীবন বাচাতে জীবনকে বাজি রেখে নদীতে অভিজান চলা সত্তেও তারা মৎস্য সম্পদ ইলিশ নিদন করছে।ফলে সরকারের দেওয়া অভিজান বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।তাহলে এ ইউনিয়নে এতসব বরাদ্দ দিয়ে সরকারের লাভ কোথায়?
জানা যায়, মানব সেবায় আগ্রহী হওয়া এই চেয়ারম্যান শিক্ষকতার মতো পেশাকে দুরে সরিয়ে দিয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করে প্রথমবার হেরে গেলেও দ্ধীতিয় বারের নির্বাচনে চোঁখের পানির বিনিময়ে জনগন তাকে চেয়ারম্যান বানায়,এর পর শুরু হয় তার নিজেকে গোছানোর মহাউৎসব।নির্বাচন কালীন সময়ের প্রেক্ষাপটে ধার-দেনা করে পচিশ লক্ষ টাকা খরচ করতে হয় তাকে। একদিকে ঋনের বোঝা অন্যদিকে মানব সেবা।মধ্যখানে হতাশাগ্রস্থ চেয়ারম্যান আবুল খায়ের। ধার-দেনার ব্যস্ততা পেরিয়ে দীর্ঘ সময়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেও জনগন অধীর আগ্রহে দিন গুনছে কবে যাবে তাদের দুঃখ দূর্দশা,কবে পাবে তাদের ন্যায্য অধীকার? নাম কেনা বেচার হাটে জনগনের অধীকার ভুলন্ঠিত করাসহ মানব সেবাকে নিজের সেবায় পরিনত করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া এই সে চেয়ারম্যান আবুল খায়ের।
এছাড়াও মূখোশধারী চেয়ারম্যানির অন্তরালে আরো কত অনিয়ম।বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা,মাতৃকালীন ভাতা,ভিজিএফ বিজিডি,টি আর কাবিখা,কাবিঠা,৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্প,সহ নানান অনিয়ম যেন তার নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার এছারাও নামে বেনামে প্রকল্প বরাদ্দ দিয়ে সিংহভাগ লুটপাট,কমিশন বানিজ্য এমনকি বিচার শালিশে পক্ষ পাতিত্ব করে মোটা অংকের অর্থ লোপাট করায় ইউনিয়ন বাসীর নিকট বিষপোঁড়ায় পরিনত হয়েছে এই চেয়ারম্যান।নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে একব্যক্তি জানান,চেয়ারম্যান নির্বাচন কালীন সময়ে ধার নেওয়া ২৫লক্ষ টাকা শোধ করার পাশাপাশি হাজীর হাট কমলনগর থানা সংলগ্ন একটি বিলাশ বহুল আলিশান বাড়ী নির্মান করে সেখানে গড়ে তুলেছেন দূর্নীতির অভায়ারন্য।ঐ বাড়ীটির বর্তমান বাজার মুল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। কেউ বলছে ঐ বাড়ীটির প্রতিটি ইটের গাথুনিতে মিশে আছে এক একটি নদী ভাঙ্গা কবলিত অসহায় অনাত মানুষের আত্ব চিৎকার। এছারাও কোটি টাকার যায়গা-জমি কিনেছেন নামে বেনামে এমনটাই জানিয়েছেন ঐ ব্যক্তি।প্রশ্ন হল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তিনি কত টাকা ভাতা পান?সব মিলিয়ে অনেকেই মনে করেন দুদক হানা দিলেই বেরিয়ে আসবে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়া মূখোশধারী এই চেয়ারম্যানের দূর্নীতির বাস্তব চিত্র।সেই সাথে উন্মোচিত হবে ভদ্রবেশী চরিত্রের নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা আসল চেহারা।জনগন পাবে তার প্রাপ্য অধিকার।জনমানবহীন সাহেবের হাট ইউনিয়নে প্রশাসন নিয়োগের দাবী অধিকার বঞিত জনগনের।ফলে সরকারের দেওয়া লক্ষ লক্ষ টাকা লুটপাট বন্ধ হবে। সচল হবে সরকারের অর্থনৈতিক চাকা।মানুষ ফিরে পাবে তার অধিকার

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।