ঢাকাWednesday , 22 April 2020
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কক্সবাজার জেলার প্রবেশদ্বারে জরুরী যানবাহন জীবানুমুক্ত করছে সেনাবাহিনী

Link Copied!

নীতিশ বড়ুয়া, রামু-
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নিয়েছে এ ভাইরাস। করোনা মোকাবেলাকে একটি যুদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রত্যেক সেনাসদস্যকে এ যুদ্ধে জয়ী হওয়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কক্সবাজার জেলাকে লকডাউন ঘোষনার পর থেকে কঠোর অবস্থানে রয়েছে রামু সেনানিবাসের ১০ পদাতিক ডিভিশন। কক্সবাজার জেলায় আগমন ও বর্হিগমনে কঠোর ভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
জানা গেছে, কক্সবাজার জেলায় জরুরী মালামাল পরিবহনকারী যানবাহন জীবাণুমুক্ত করতে জেলার প্রবেশদ্বারে জীবানুনাশক বিশেষায়িত একটি বুথ নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার প্রবেশদ্বারে সেনাবাহিনীর উদ্ভাবনী উপায়ে প্রস্তুতকৃত বিশেষায়িত এ বুথ নির্মাণ করা হয়। মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) বিকালে জীবানুনাশক বিশেষায়িত বুথের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন, রামু সেনানিবাসের ১০ পদাতিক ডিভিশন জিওসি ও কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী। এ সময় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনসহ উদ্ধর্তন সামরিক ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কক্সবাজার জেলা প্রবেশদ্বারে যানবাহন জীবানুনাশক বিশেষায়িত বুথ পরিদর্শনের সময় রামু সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী দেশের ক্রান্তিলগ্নে সেনাসদস্যদের নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ায় প্রশংসা করেন এবং কঠিন এপরিস্থিতি মোকাবেলায় জনগণকে আশ্বস্থ করা ও দুর্দশাগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য টহলরত সেনাসদস্যদের বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন।
রামু সেনানিবাস সূত্র জানায়, গত ২৪ মার্চ থেকে কক্সবাজার জেলা ও চট্টগ্রাম জেলার চার উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের জন্য নিয়োজিত রয়েছেন ১০ পদাতিক ডিভিশনের সেনাসদস্যরা। ৮ এপ্রিল কক্সবাজার জেলাকে লকডাউন ঘোষনা করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। লকডাউনের পর সেনাসদস্যদের কার্যক্রম আরও বহুগুনে বৃদ্ধি করা হয়েছে। জেলার প্রবেশ পথে অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন সেনাসদস্যরা। কক্সবাজারে প্রবেশ করতে ও কক্সবাজার থেকে বাহির হতে পারবেন না। এ আদেশ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে জরুরি চিকিৎসা সেবা ও খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ এই নির্দেশনার আওতামুক্ত থাকবে।
কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থানে সেনাসদস্যদের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন এবং অসহায় মানুষদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন, রামু সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী। সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের জন্য নির্ধারিত রেশনসামগ্রীর একাংশ বাঁচিয়ে খেটে খাওয়া, হতদরিদ্র, কর্মহীন মানুষের মাঝে বিতরণ কার্যক্রম করা হয়েছে। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ ও আটা। লকডাউন পরিস্থিতিতে ঘরবন্দি মানুষের সংকট দূর করতেই সেনাবাহিনীর এই প্রচেষ্টা। খাদ্য সহায়তায় অনেকটা স্বস্তি পেয়ে দুঃশ্চিন্তামুক্ত হওয়ার কথা জানান অসহায় হত দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষেরা।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।