ঢাকাThursday , 12 April 2018
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

উখিয়ায় ফের রোহিঙ্গা মানবতায় পাহাড় কেটে বিরান ভুমি:দেখার কেউ নেই

Link Copied!

শ.ম.গফুর,উখিয়া(কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা মানবতায় সাড়ে ৫ হাজার একর বনভূমি ধ্বংস করে লাখ- লাখ রোহিঙ্গার আশ্রয় নেওয়ার পরও থামেনি পাহাড় কাটা। নতুন করে গত সপ্তাহ ধরে চলছে নির্বিচারে পাহাড় কর্তন।এ যেন মগের মুল্লুগ উখিয়ার বনভুমি।
রোহিঙ্গাদের প্রয়োজন ছাড়াও কতিপয় এনজিও সংস্থা মানবিক সেবার নাম ভাঙিয়ে বনভূমির জায়গায় বাসা-বাড়ি, অফিস, গুদাম, গাড়ি পার্কিংসহ নানা স্থাপনা তৈরি করছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো প্রকার অনুমতি ব্যতিরেকে নির্বিচারে পাহাড় কেটে তাদের ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলের জন্য তৈরি করা হচ্ছে রাস্তা ও নানা স্থাপনা। যার ফলে জীববৈচিত্র্য, বন্য পশু-প্রাণী বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে এমনটি দাবী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। পাশাপাশি বন সম্পদ ধ্বংসের কারণে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন পরিবেশবাদীরা। সরেজমিন থাইংখালীর ক্যাম্প এলাকায় হাজারো রোহিঙ্গা শ্রমিক নির্বিচারে পাহাড় কেটে শ্রেণি পরিবর্তন করছে। লন্ডাখালীতে পাহাড় কাটায় নিয়োজিত রোহিঙ্গা শ্রমিক দিল মোহাম্মদ জানায়, আইওএম, ইউএনএইচসিআর, কারিতাস, ডাব্লিউএফপি, অক্সফাম, রেডক্রিসেন্ট, ওর্য়াল্ড ভিশনসহ বেশ কিছু এনজিও অবকাঠামো নির্মাণের উদ্দেশ্যে এসব পাহাড় কাটছে। এসব রোহিঙ্গা দৈনিক ৪শ টাকায় মাটি কাটার কাজ করছে বলেও সে জানায়।বনাঞ্চল ধ্বংসের বিষয়ে রোহিঙ্গা মো: নুরুন্নবী বলেন, এনজিও’র দেওয়া লাকড়ি পর্যাপ্ত নয় তাই জ্বালানি চাহিদা পূরণে গাছ কাটছে। আর পাহাড় কাটার ব্যাপারে তিনি বলেন, এনজিওরা তাদের প্রয়োজনের তাগিদে পাহাড় কাটা অব্যাহত রেখেছে। প্রত্যক্ষদর্শী রোহিঙ্গাদের অভিযোগ পাহাড় কাটার ব্যাপারে রোহিঙ্গাদের দায় করলেও মূলত এনজিওরাই তাদের ইচ্ছামতো পাহাড় কেটে স্থাপনা ও রাস্তাঘাট তৈরি করছে। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে এনজিও সংস্থার কাউকে পাওয়া যায়নি।মধুরছড়া রোহিঙ্গা মাঝি হামিদ হোসেন জানান, কারিতাসসহ বেশ কয়েকটি এনজিও সংস্থা ইদানীং প্রত্যন্ত পাহাড়ি জনপদে পাহাড় কেটে শ্রেণি পরিবর্তন করছে।রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, উখিয়ার ৮টি ক্যাম্পে আশ্রিত ৭ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বনভূমির শতাধিক পাহাড় কেটে বিরান ভূমিতে পরিণত করেছে। যে কারণে শত শত একর ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে। বন্য প্রাণীর নিরাপদ স্থান না থাকায় অনেক সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হামলা করছে। এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে।নির্বিচারে পাহাড় কর্তনের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আলী কবির জানান, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের জন্য ৫ হাজার একর বনভূমি দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই আরো ৫০০ একর বনভূমি চাহিদা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।বন কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গাদের থাকার জন্য বনভূমির জায়গা দেওয়া হলেও পাহাড় কাটার কোনো প্রকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু কিছু এনজিও সংস্থা কারো আদেশ-নির্দেশের তোয়াক্কা না করে নির্বিচারে পাহাড় কেটে শ্রেণি পরিবর্তন করায় বনসম্পদ, জীববৈচিত্র্য ও বন্য পশু-প্রাণী বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে। তিনি পাহাড় কাটার ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অবহিত করার কথাও তিনি জানান।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, মানবিক কারণে সরকার রোহিঙ্গাদের বনভূমিতে আশ্রয় দিয়েছে থাকার জন্য। কিন্তু এনজিও সংস্থাগুলো কোনো প্রকার অনুমতি ব্যতিরেকে তাদের সুবিধার্থে পাহাড় কর্তন করে থাকলে সংশ্লিষ্ট এনজিও’র বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে রোহিঙ্গারা যাতে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে সেদিকেও সরকারের সু-নজর রয়েছে।শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম এনডিসি জানান, সরকার মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাহাড়ের শ্রেণি পরিবর্তন হচ্ছে তবে ঢালাও ভাবে না। তবুও ব্যাপারটি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, যেসব রোহিঙ্গা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে তাদেরও নিরাপদ জায়গা সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ রোহিঙ্গা সেবাই নিয়োজিত এনজিওদের কারণে উখিয়ার জূব- বৈচিত্র্য মৃত প্রায়।দ্রুত সময়ে পদক্ষেপ না নিলে মরুভুমিতে পরিনত উখিয়া।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।