ঢাকাTuesday , 24 March 2020
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

উখিয়ায় এবার রোহিঙ্গা দুস্কৃতকারীদের হুমকিতে ঘরছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কৃষকের পরিবার

Link Copied!

শ.ম.গফুর,উখিয়া,কক্সবাজার: কক্সবাজারের উখিয়ার তেলীপাড়াস্থ ক্যাম্প-৭ এর রোহিঙ্গা দুস্কৃতকারীদের প্রতিনিয়ত হুমকি আর অস্ত্রের মহড়ায় পরিবার-পরিজনের জানমাল নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিনরাত পার করছে হতদরিদ্র এক কৃষক।হুমকিতে ঘরছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কৃষক সাত্তার। গত ১৬ মার্চ ভোর সাড়ে ৫ টায় উক্ত কৃষকের
৬০ শতক ফসলা ধানের রোপা সম্পূর্ণ উপড়ে ফেলে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।এঘটনায় জড়িত ১৫ জন রোহিঙ্গা দুস্কৃতকারীদের নাম উল্ল্যেখ, অজ্ঞাতনামা আরো ২০/২২ জনের নামে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, উখিয়ারঘাট তেলীপাড়ার মৃত জাফর আলমের ছেলে আবদুস সাত্তার।

এজাহার সুত্রে জানা গেছে,১৬ মার্চ ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে ক্যাম্প-৭ এর মাহমদুল হক হাসানের ছেলে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মৌঃরফিক,খাইরুল আমিনের ছেলে হেডমাঝি মুহিদুল্লাহ,হেডমাঝি ছৈয়দ নুর,মীর আহমদের ছেলে ছৈয়দ আকবর,ছানাউল্লাহ,জোবাইর ও কলিমউল্লাহ,সিদ্দিক মাঝি,তাহের,আজিজ,রহিমউল্লাহ, মোহাম্মদ উল্লাহ, এনাম,মৌঃজোবাইর,আনোয়ার শাহ,আবছার ওরফে বুলবুল,জাবের ও আরাফাতের নেতৃত্বে শতাধিক রোহিঙ্গা দুর্বৃত্ত ভোরে এসব ধানের রোপা উপড়ে ফেলে।ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আবদুস ছাত্তার নিজের ধান উপড়ে ফেলার দৃশ্য দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন।বাধা দিতে গেলে উলটো প্রাননাশের ধমকি দিয়ে ধাওয়া দেয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।ফলে হতদরিদ্র কৃষক আবদুস ছাত্তারের পরিবার চরম বেকায়দায় পড়েছে।৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে করা চাষাবাদ অসময়ে সম্পুর্ণ নষ্ট করে ফেলায় সংসারের খাদ্য চাহিদা মেঠানো নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন।

শুধু খাদ্য সংকট নয়,ঘটনার পর থেকে ছাত্তার,তাঁর ভাই ফকরুদ্দিন,আবদুল হাকিম,ভগ্নিপতি মঞ্জুর আলমের বসতবাড়িতে রাত-বিরাতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্রস্বস্ত্র নিয়ে ঘুরাফেরা করতে থাকায় জানমাল নিয়ে চরম আশংকায় রয়েছেন।নিজেদের সহায় সম্পদ রক্ষা,শারিরীক নিরাপত্তার বিষয়ে একাধিকবার ক্যাম্প-৭ এর সহকারী ইনচার্জ মোঃশাহজাহানের শরনাপন্ন হন আব্দুস সাত্তার।কিন্তু ক্যাম্প ইনচার্জের ভুমিকা বরাবরই রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে।আমার দীর্ঘ যুগ-যুগ সময় ধরে ভোগদখলীয় সামাজিক বনায়নের জায়গা কোন এনজিওর নিকট ভাড়া দিয়ে দেবে মর্মে সরল বিশ্বাস জমাইয়া ক্যাম্প ইনচার্জ শাহজাহান ১০ হাজার টাকা উপঢৌকন নিয়েছে বলে অভিযোগ করে জানাই সে। সাত্তার আরো জানান,আমি কোন রোহিঙ্গাকে দোকান বা জায়গা ভাড়া দিইনি,বা টাকা গ্রহণ করিনি।আমার জায়গা জবর দখল করে, আমার বাড়িঘর উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা করছে তাঁরা।যেকোন মুহুর্তে তাঁর উক্ত ফসলা জমি জোর পূর্বক দখলে নিয়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের আস্তানা গেঁড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উক্ত ঘটনায় রোহিঙ্গা এবং গ্রামবাসীদের মাঝে টান-টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।যেকোন মুহুর্তে আবারো বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘটিত করার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।ক্যাম্প অভ্যন্তরে থাকা গ্রামবাসীদের পরিবার গুলো জানমাল নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।সম্প্রতি সময় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে একটি অখ্যাত পত্রিকায় কথিত এক সাংবাদিক পরিচয়ী ব্যক্তি প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে আব্দুস সাত্তার পাহাড় এবং বনজংগল কেটে দোকান বসিয়েছে মর্মে অভিযোগ তুলে মোটাংকের টাকা দাবী করে,অন্যথায় আবদুস সাত্তার ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে সিন্ডিকেটের প্রধান সাজিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।সাত্তার জানান ক্যাম্প-৭ এর সহকারী ইনচার্জ আমাকে বার-বার একা ডেকে পাঠাচ্ছে,একটা আপোষ হবে এমন কথাও জানান।,আমার জায়গায় স্থানীয় মেম্বার আবছারের কোন হাত নেই।তাকে জড়ানো অনৈতিকতা ছাড়া কিছুই নয়।

ক্যাম্প-৭ এর সহকারী ক্যাম্প ইনচার্জ মোঃশাহজাহান এ বিষয়ে জানতে কল করা হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মরজিনা আকতার মরজু বলেছেন এজাহার পেয়েছি,জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধান্য রোপা উপড়িয়ে ফেলানোর ঘটনায়
পালংখালী ইউপির ১নং ওয়ার্ডের তেলীপাড়ায় পালংখালী ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল আবছার চৌধুরী,
ক্ষোভ প্রকাশ করে অনতিবিলম্বে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় এনে কৃষক আবদুস ছাত্তারের পরিবারকে সন্ত্রাসী রোহিঙ্গাদের কবল থেকে নিরাপত্তা দানের দাবি জানান।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।