মোঃ সুমন আলী খান :হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানা পুলিশ চিহ্নিত
তদবিরকারক ও দালালদের তালিকা প্রস্তুত করছে। বিভিন্ন সময় কারণে অকারণে
থানায় এসে ওসি, এসআই, এএসআই, ও পুলিশ সদস্যকে প্রয়োজন ছাড়া বিরক্ত করা,
গোপন তথ্য জানার চেষ্টা, অযথা থানায় আসা যাওয়া করায় থানার সংরক্ষিত সিসি
ক্যামেরার সুত্র ধরে এ তাালিকা প্রস্তুত করার উদ্দ্যোগ নিয়েছে নবীগঞ্জ
থানা পুলিশ। অচিরেই এ তালিকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার
বরাবর প্রেরণ করা হবে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রকাশ, ওই থানায় আগের চেয়ে
ইদানিং বিভিন্ন লোকদের আনাগোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে থানার দায়িত্বে
থাকা পুলিশ কর্মকর্তা আগতদের সময় দিতে হচ্ছে। অনেকে আছেন প্রয়াজন ছাড়া
দিনে তিন চারবার থানায় যাতায়াত করছেন। এদের মধ্যে অনেকে বিভিন্ন শ্রেনির
ভুক্তভোগীদের সঙ্গে করে থানায় নিয়ে যান। ওই সুযোগে ভুক্তভোগীদের ফাঁয়দার
লোভ দেখিয়ে হাজার হাজার টাকা পকেটস্থ করছেন। সুত্রে আরো জানায়, এক
শ্রেনীর থানার তদবিরকারক ও দালাল সর্বক্ষন থানায় পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
এদের মধ্যে অনেকে সহজ-সরল লোকদের নগদ ফাঁয়দা হাসিলে চুক্তি ভিত্তিক টাকা
হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করছেন। আবার অনেকে থানা পুলিশের বাহানা করে নিজেই
পকেটস্থ করছে টাকা। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম আতাউর
রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, থানায় আগত বিভিন্ন শ্রেনির
ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ও থানার রক্ষিত সিসি ক্যামেরার সুত্র
ধরে থানায় আসা তদবিরকারক ও চিহ্নিত দালালদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
অচিরেই ওই তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।