ঢাকাMonday , 2 April 2018
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রোহিঙ্গাদের ঝুঁকি এড়াতে ৫ শত একরের  আরো একটি ক্যাম্পে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া

Link Copied!

শ.ম.গফুর,উখিয়া(কক্সবাজার) থেকে
পাহাড় ধস ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশংকায় কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। তাদের জন্য পাশেই ৫০০ একর জায়গায় নতুন ক্যাম্প করছে সরকার। কুতুপালং ভূমিধস প্রবণ এবং কোন দুর্ঘটনা ঘটলে বিপুল প্রাণহানীর আশংকা রয়েছে বলে জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা- ইউএনডিপি রিপোর্ট দেয়ার পরই তাদের সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থপনা মন্ত্রণালয়।মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা-নির্যাতন থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের বড় অংশই থাকছে কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে। প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গার জন্য পলিথিন ও প্লাস্টিকের শিট দিয়ে এখানে তৈরি করা হয়েছে সাময়িক আশ্রয় শিবির। এসব উপাদান পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে জলাবদ্ধতা ও তা থেকে ভূমিধস হতে পারে, এমন আশংকার কথা উঠে এসেছে জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা-ইউএনডিপি এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশগত ঝুঁকি নিয়ে করা সমীক্ষায়।এই যৌথ সমীক্ষায় বলা হয়েছে, আশ্রয় শিবির গড়ে ওঠার ফলে কুতুপালং এলাকার পাহাড়ে গাছের পরিমাণ ৭২ শতাংশ থেকে কমে ৩৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। পাহাড়গুলোর ভুমি ৬৭ শতাংশ কাদা ও বালুময়। সামান্য বৃষ্টি ও বাতাসে ভেঙ্গে ধসে পড়তে পারে। তাই বর্ষার আগেই রোহিঙ্গাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দুর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের সচিব শাহ কামাল জানান, ওই সমীক্ষা আমলে নিয়ে তারা ইতিমধ্যে কুতুপালং ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন।তিনি জানান, বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় প্রায় ৪৫ হাজার পরিবার রয়েছেন। এর মধ্যে ৫ হাজার পরিবার ইতিমধ্যে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।গত বছরের মে মাসে ঘূর্নিঝড় মোরার আঘাতে ওই এলাকার ৪৮টি স্থানে ভুমিধস হয়েছিলো। হঠাৎ বন্যার ঝুঁকিও রয়েছে এই এলাকায়।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।