ঢাকাTuesday , 3 April 2018
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রামগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে সম্পত্তি দখল

Link Copied!

মুহাম্মদ নোমান ছিদ্দীকী,লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি: রামগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে রাতের আঁধারে দোকান ঘর নির্মান অব্যাহত রেখেছে কামাল হোসেন ও আলী হোসেন গংরা। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাতে পৌর সোনাপুর ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন বিচারপ্রার্থীর বাড়ীর সামনের ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে। খবর পেয়ে রামগঞ্জ থানার এসআই ফারুক আহম্মেদ ঘনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা যায়, পৌর সোনাপুর গ্রামের পালের বাড়ীর আবদুল বারেক ও তার দুই ভাই নন্দনপুর মৌজার ৩৮৮ খতিয়ানভূক্ত হালে ৫দাগের অন্দরে ৯শতাংশ সম্পত্তির মালিক। আদালতে বিচারাধীন থাকা সত্বেও উক্ত সম্পত্তি আবদুল বারেক ও তার প্রবাসী ভাইদের থেকে দখলে নিতে বিগত সময় থেকে পাশ্ববর্তি সোনাপুর সেলিম আটিয়া বাড়ীর কামাল, আলী হোসেন ও জসিম গংরা বিভিন্ন সময়ে দখলের অপচেষ্টা চালায়। বেশ কয়েকবার হামলার ঘটনাও ঘটেছে বলে স্থানীয় লোকজন।
বাধ্য হয়ে আবদুল বারেক ২০১৪ইং সনে লক্ষ্মীপুর জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মিছ মামলা করেন। পরবর্তিতে আদালত উভয় পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আদালত আবদুল বারেক গংদের পক্ষে রায় দেয়া হয়। রায় হওয়ার পর পূনরায় কামাল হোসেন গংরা ২৫৬ রিভিশন দায়ের করে রাতের আঁধারে দোকান ঘর নির্মানের প্রস্তুতি নিলে আবদুল বারেক রামগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে রামগঞ্জ থানার এস আই ফারুক আহম্মেদ শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করে সোমবার উভয়পক্ষের কাগজপত্র নিয়ে থানায় সোমবার বৈঠকের কথা বলে নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু কামাল গংরা ঐদিন রাতেই ২/৩শ ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে দারালো অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বালু ফেলে টিনের ঘর নির্মান অব্যাহত রাখে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফারুক আহম্মেদকে বিষয়টি জানানো হলেও তিনি ঘঁনাস্থলের আসতেছি-আসবে বলে মোবাইল সংযোগ কেটে দেন। এসময় আবদুল বারেক ও তার ছেলেরাসহ ঘর নির্মানে বাধা দিতে গেলে তাদেরকে সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আবদুল বারেক গংদের বেশি বাড়াবাড়ি করলে জানে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়। পরদিন সকালে আবদুল বারেক রামগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে গেলেও থানা থেকে জানানো আদালতের ব্যপার আমি কি করবো, আপনারা আদালতে যান।
অপরদিকে সন্ত্রাসী পাহারা বসিয়ে কামাল হোসেনের লোকজন দোকানঘর নির্মান অব্যাহত রাখে।
সোমবার বিকালে বৈঠকের কথা থাকলেও কামাল হোসেনের বড় ভাই আলী হোসেন আবদুল বারেক ও তার ভাইদের হয়রানী করতে উল্টো লক্ষ্মীপুর আদালতে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কামাল হোসেন তার কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আছে দাবী করে বলেন, আমি আমার সম্পত্তিতে দোকানঘর নির্মান করছি।
রামগঞ্জ থানার এস আই ফারুক আহম্মেদ জানান, আমি ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করেছি। সোমবার বৈঠকের ব্যপারে উভয়পক্ষকে নোটিশ করা হয়েছে। এর বাহিরে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।