ঢাকাThursday , 27 June 2019
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভোলায় বিনামূল্যে জেলেদের গবাদিপশুর চিকিৎসা ও টিকাদান

Link Copied!

ভোলা প্রতিনিধি: চলতি ভরা মৌসুমে ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে দেখা মিলছে না রুপালি ইলিশের। তাই অসহায়ের মতো দারিদ্র জীবন যাপন করছে স্থানীয় উপকুলীয় জেলেরা । সামনে কোরবানীর ঈদ। জেলেদের গবাদী পশুদের দরকার টিকা ও ভিটামিন।  হাতে নেই টাকা। দুচিন্তা গ্রস্থ হয়ে পরছে তারা। আর এসব অসহায় জেলেদেরকে হাত বাড়িয়ে দিলো ইউএসএঅাইডির অর্থায়নে প্রানী সম্পদ ও মৎস্য বিভাগের সহযোগিতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ট্রাস্টের  বাস্তবায়ধীন ইকোফিশ প্রকল্প। বিনামূল্যে জেলেদের গবাদী পশুদের টিকা ও চিকিৎসা দিচ্ছে তারা।

বৃহস্পতিবার সকালে ভোলার দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নের মেদুয়া গ্রামের ৫ শত’ গরু, ছাগলকে বিনামূল্যে টিকা ও চিকিৎসা প্রদান করে ইকোফিশ প্রকল্প,কোস্ট ট্রাস্ট,ভোলা। প্রাণী সম্পদ উন্নয়নের লক্ষে টিকাদান কর্মসূচীর মাধ্যমে এ টিকা ও চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

ওয়ার্ল্ড ফিশের ভোলার রির্সাস এ্যাসোসিয়েড অংকুর মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, আমরা সারা বছর জেলেদের নিয়ে কাজ করি। তাদের সুখে, দূখে পাশে থাকি। জেলেদের স্বাবলম্বী করাই আমাদের উদ্দেশ্য । তিনি আরো বলেন, নদীতে যখন অভিযান থাকে ও নদীতে মাছ কম পরে সে সময় জেলেদের অনেক অভাব থাকে। আমরা জেলেদের স্বাবলম্বী করার জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে তাদের মাঝে বিনামূল্যে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগীসহ বিভিন্ন সবজীর বীজ প্রদান করি। যাতে তারা ওই সময়গুলোতে অভাবে না পরে ।

ইকোফিশ প্রকল্প,কোস্ট ট্রাস্টের সহ সমন্বকারী ( টিএস) মোঃ সোহেল মাহমুদ বলেন, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে তাদেরকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলাই আমাদের কাজ। আমরা এ প্রকল্পের মাধ্যমে জেলে ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষন দিয়ে তাদের মাঝে বিনামূল্যে উপরণ দিয়ে যাচ্ছি। এতে অনেক জেলে উপকৃত হয়েছে। ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে অনেকের।

দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নের মেদুয়া গ্রামের গৃহবধূ নাহার বেগম (৩০) বলেন, আমার স্বামী ইউসুফ একজন জেলে। আমাদের কোন জমি-জমা নেই। নদীতে মাছ শিকার করে সংসার চলে আমাদের। মাছ না ধরতে পারলে এ সময় অনেক অভাবে থাকতে হতো আমাদের। এখন এ প্রকল্পের মাধ্যমে গরু ও ছাগল পেয়েছি। তা লালন পালন করে সংসারে বাড়তি আয় করছি। এখন অনেক ভাল আছি।

একই গ্রামের ফাতেমা বেগম বলেন, সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের পাশে দাড়িয়েছে। আমরা এখন নদীর উপর শুধু নির্ভর করিনা। বিকল্প কাজ করে স্বামীর পাশাপাশি আয় করছি। সন্তানদের লেখা পড়াও ভাল ভাবে চলছে। নিজেরা অনেক ভাল আছি। 

বিনামূল্যে টিকা ও চিকিৎসা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আলী, দৌলতখান উপজেলার সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মনোয়ার হোসেনসহ প্রমূখ।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।