ভূরুঙ্গামারী ( কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে করোনা প্রতিরোধে বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন ,পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার প্রায় সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করে সবাইকে ঘরে থাকতে বলছে। বলা হচ্ছে পরস্পর থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের জন্য। কিন্তু ভূরুঙ্গামারীতে মানুষ ঘরে থাকছে না, মানছে না প্রশাসনের বিধি নিষেধ। ব্যাংক গুলোতে দেখা গেছে গ্রাহকদের উপচেপড়া ভীড়। উপজেলার হাট বাজারে ও কাপড়ের দোকান গুলোতে সামজিক দূরত্ব বজায় না রেখে ক্রয়-বিক্রয়ে মেতে উঠেছে ক্রেতা-বিক্রেতারা।
উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলার সব কটি হাট বাজার পূর্ববতী স্থান থেকে সরিয়ে পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের মাঠে স্থানান্তর করে। মঙ্গলবার দুপুরে ভূরুঙ্গামারী বাজারে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতা-বিক্রেতার উপচেপড়া ভিড়। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে কেনাকাটা করছে। প্রথমদিকে ক্রেতা-বিক্রেতারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চললেও ইদানিং সামাজিক দূরত্ব মানছে না। ফলে করোনাভাইরাসে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে। সাধারণ মানুষের অনীহার কারণে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে উঠছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার যে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা মেনে চলছেন না বাজারে আসা বিপুল সংখ্যক মানুষ। বিশেষ করে গত ১০ মে থেকে শর্ত সাপেক্ষে দোকানপাট খোলার অনুমতি দেওয়ার ফলে অনেকটাই বেপোরোয়া হয়ে ওঠেছে ক্রেতা-বিক্রেতারা। এভাবেই নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার সচেতন মহল।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, কোভিট-১৯ সন্দেহে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পাঠানো হয়েছে ১০২ টি । প্রাপ্ত ফলাফল ৭১। এর মধ্যে তিনটি ফলাফল কোভিট-১৯ পজিটিভ এসেছে। যাতে ১৬ বছরের একজন কিশোর, ৩০ বছরের এক জন পুরুষ ও ২৬ বছরের একজন নারি রয়েছে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি মুহাঃ আতিয়ার রহমান বলেন, লক ডাউন শিথিল হয়নি। মার্কেট খোলা রাখায় জনসমাগম একটু বেড়েছে। মানুষকে ঘরে ফেরাতে দিন রাত কাজ করছে থানা পুলিশ। তিনি উপজেলা বাসীকে আরো সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।